সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই বাতিল হয়েছিল সিবিএসই-র (CBSE) দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হল আইএসসি (ISC) দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। দ্য কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশনস (CISCE) এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে পড়ুয়াদের নম্বর কীভাবে দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরই CBSE পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনা আবহে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এই বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষা আগেই বাতিল হয়েছিল। এবার বাতিল হল ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি, প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সংকোচন জিডিপিতে]
চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে ফের দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল নিতে কার্যত নাকানিচোবানি খাচ্ছেন সকলে। বৃদ্ধ বা প্রৌঢ়দের তুলনায় এবার বেশিমাত্রায় আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্ম। সংক্রমণ রুখতে স্কুল-কলেজে তালা ঝুলছে। সেই প্রভাব পড়ছে পরীক্ষাগুলিতেও।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও তুলে ধরা হয় সামগ্রিক পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির মতামতও তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে পেশ করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেও দেশে করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। জানিয়ে দেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে জোর করা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল থেকেই দেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এরপর থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। অক্সিজেনের হাহাকার, হাসপাতালে বেডের ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। পরিস্থিতি শোধরাতে লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে বহু রাজ্যও। ধীরে ধীরে সংক্রমণের গতির গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে। দেশের ৩৪৪টি জেলায় আক্রান্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। এবং ৭ মে দৈনিক আক্রান্তের যে সংখ্যা ছিল, তা কয়েক সপ্তাহে ৬৯ শতাংশ কমেছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। তাই সবদিক বিচার করেই CBSE ও ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।