সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের আগস্ট মাসে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা টিম ইন্ডিয়ার। ইতিমধ্যে সূচিও প্রকাশ করে দিয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারত এই সিরিজ খেলতে গেলে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমসা হবে না তো? সেই সিরিজ নিয়ে কালো মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে।
এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য এই সিরিজকে দেখা হচ্ছে বলে ক্রিকেট মহল মনে করছে। উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে সেপ্টেম্বরে। ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ পৌঁছনোর কথা ভারতীয় দলের। ১৭ আগস্ট মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। একই ভেন্যুতে পরের ম্যাচ ২০ আগস্ট। ২৩ আগস্ট চট্টগ্রামে রয়েছে সিরিজের শেষ ওয়ানডে। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শেষ দু’টি ম্যাচ যথাক্রমে ২৯ এবং ৩১ আগস্ট, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
কিন্তু সমস্যা দুদিক থেকে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে। আর তাতে 'ইন্ধন'ও জোগানো হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। এই পরিস্থিততে বোর্ডের এক সূত্র একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "এই সফরটা ক্যালেন্ডারের অংশ ঠিকই, কিন্তু এখনও কিছু চূড়ান্ত নয়। ফলে এই অবস্থায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সফরে ভারতীয় দল বাংলাদেশে নাও যেতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই পরিস্থিতিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।"
এমনকী চলতি বছরে ভারতের মাটিতে এশিয়া কাপে প্রতিবেশী দলগুলোকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তা বাড়ছে। ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, "ভারত সরকার যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ক্রিকেট নাও হতে পারে।" গত আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের পর দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে বৈরিতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আলম ফজলুর রহমান উস্কানিমূলক পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চিনের সাথে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।' এমনিতে পাকিস্তানের সঙ্গে আর কোনও ম্যাচ খেলতে চাইছে না ভারত। এবার বাংলাদেশ থেকেও যদি এরকম 'উস্কানি' দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে দু'দেশের ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
