সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে ল্যান্ডফল হল সাইক্লোন 'ডানা'(Cyclone Dana) র। প্রবল ঝড়ের জেরে বিপর্যস্ত ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ে গাছ উপড়ে বন্ধ হয়েছে বহু রাস্তা। ১১০ কিমি বেগে ঝড় বইছে উপকূলবর্তী এলাকায়। অন্যদিকে, নবান্নে বসে রাতভর পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ের জেরে বন্ধ করা হয়েছে দিঘার মেরিন ড্রাইভ।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পূর্বাভাস মতোই ধামড়া এবং ভিতরকণিকার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ডানা। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ল্যান্ডফল হয়েছে 'ডানা'র। আছড়ে পড়ার সময়ে ১১০ কিমি বেগে ঝড় হয়েছে বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে। তবে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত।
'ডানা'র ল্যান্ডফলের জেরে ওড়িশায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। ধামড়ার একাধিক এলাকায় গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। তবে ইতিমধ্যেই উপড়ে পড়া গাছ কাটার কাজ শুরু হয়েছে সেখানে। ভুবনেশ্বরে বসে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। ল্যান্ডফল শেষে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে ওড়িশার একাধিক জেলায়।
বাংলায় সেভাবে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারেনি 'ডানা'। তবে দিঘার মেরিন ড্রাইভ বন্ধ রাখা হয়েছে। সমুদ্রে বড় ঢেউ আসছে ল্যান্ডফলের পর থেকে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং কলকাতায় নাগাড়ে চলছে বৃষ্টি। সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরের পরিষেবা। রেল এবং ফেরি পরিষেবাও সাময়িক বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, শুরু হবে রেল এবং বিমান চলাচল। তবে শুক্রবার দিনভর চলবে বৃষ্টি, এমনটাই খবর হাওয়া অফিস সূত্রে। জানা গিয়েছে, ওড়িশার চাঁদবালিতে ১৪৫.৮ মিলিমিটার, ভুবনেশ্বরে ২০.৪ মিলিমিটার, বালেশ্বরে ৪৪.৮ মিলিমিটার এবং পারাদ্বীপে ৭৬.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।