সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝড় থামলেও নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে। এই বৃষ্টির জেরেই এবার বিপত্তি। টানা বৃষ্টির জেরে ধস নামল বহু জায়গায়। তামিলনাড়ুর তিরুবন্নামলইতে ধসের কবলে পড়ল একাধিক বাড়ি। এই ঘটনার পর নিখোঁজ একই পরিবারের ৭ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তাঁরা। খবর পেয়ে রবিবার রাত থেকে ওই এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে হানা দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফেনজল (Cyclone Fengal)। রাতভর তাণ্ডব চালানোর পর রবিবার সকাল থেকে শক্তি হারায় সেটি। রবিবার সকাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে হাওয়ার বেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। কোথাও কোথাও তা ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে। তবে ঝড় থামলেও গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে ওই অঞ্চলে। যার জেরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক, কেরলের একাংশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
এরই মাঝে নয়া বিপদ দেখা দিল তিরুবন্নামলইতে। প্রবল বৃষ্টির জেরে রবিবার রাতে হঠাৎ ধস নামে এই এলাকায় কাদামাটিতে ধসের জেরে বসে যায় রাস্তা। ভেঙে পড়ে ওই অঞ্চলে থাকা তিনটি বাড়ি। দুর্ঘটনার জেরে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান একই পরিবারের ৭ জন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হাইড্রলিক লিফট ও পুলিশ কুকুরের সাহায্য নিয়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তবে এই ধসের জেরে হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। প্রবল বৃষ্টির জেরে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উদ্ধারকাজও।
ধস নামার পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টির জেরে তামিলনাড়ুর বিস্তীর্ণ এলাকায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। পুদুচেরিতেও একই অবস্থা। বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারের জন্য মাঠে নেমেছে ভারতীয় সেনাও। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের জেরে শনিবার চেন্নাইতে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। পৃথক ঘটনায় ওই ৩ জনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।