সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ ইস্তফা দিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Delhi LG) অনিল বৈজল। বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইস্তফাপত্রে ব্যক্তিগত কারণেই পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বৈজল। তবে ঠিক কী কারণে তিনি পদ ছাড়লেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রায় চার দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক হাই প্রোফাইল পদে কাজ করেছেন অনিল বৈজল (Anil Baijal)। গত পাঁচ বছর ধরে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপরাজ্যপাল হিসাবে কাজ করছেন প্রাক্তন এই আইএএস আধিকারিক (IAS Officer)। তার আগে দীর্ঘদিন কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিব হিসাবে কাজ করেছেন। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাও দীর্ঘদিনের। এর আগে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মুখ্য সচিব হিসাবেও কাজ করেছেন বৈজল।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে ধাক্কা, কোনও আইনি রক্ষাকবচ ছাড়াই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের]
গত পাঁচ বছর দিল্লির উপরাজ্যপাল থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সঙ্গে দ্বন্দ্বের জন্য বহুবার শিরোনামে এসেছেন তিনি। কার্যকালের শুরুর দিকে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সঙ্গে ক্ষমতার এক্তিয়ার নিয়ে বারবার বিবাদে জড়িয়েছেন বৈজল। বারবার তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি সরকারের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল তাঁর সরকারি বাসভবনের সামনে ধরনাও দিয়েছেন। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট দু’পক্ষের এক্তিয়ার নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়ার পর কিছুটা কমেছিল সেই বিবাদ।
[আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি মামলা: জোড়া মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে CBI দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ হাই কোর্টের]
কিন্তু এরই মধ্যে উপরাজ্যপালের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অনেককেই চমকে দিয়েছে। এমনিতে বৈজল কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে কোভিড বৃদ্ধি এবং সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় উপরাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সত্যিই ব্যক্তিগত কোনও কারণে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ আছে, তা নিয়েই চলছে কাটাছেঁড়া।