সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মদ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পরই দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশনে বসছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতা (K Kavitha)। মদ কেলেঙ্কারিতে ৯ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল কবিতার। তবে তিনি জানিয়েছেন ১১ তারিখ হাজিরা দেবেন। তার আগে শুক্রবার যন্তর মন্তরে এক দিনের প্রতীকী অনশনে বসতে চলেছেন তিনি। তাতে তৃণমূল-সহ সব বিরোধী দল শামিল হতে পারে।
বুধবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়েকে সমন পাঠায় ইডি। দিল্লির মদ-কাণ্ডে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যাকে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রবিবার আট বিরোধী দলের নয় নেতার ‘পত্রবোমা’ আছড়ে পড়েছিল ৭, লোককল্যাণ মার্গে। কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) পাঠানো চিঠিতে সই করেছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) প্রধান তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। চিঠিটা পাঠানো হয়েছিল গত রবিবার। আর বুধবার রাও-কন্যাকে কবিতাকে সমন পাঠায় ইডি। চন্দ্রশেখরের কন্যা তথা তেলেঙ্গানার শাসক দল বিআরএসের নেত্রী, কবিতাকে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৯ মার্চের মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। তবে আজ তিনি হাজিরা দিচ্ছেন না। হাজিরা দেবেন ১১ মার্চ।
[আরও পড়ুন: ভারতে বিদেশি হস্তক্ষেপের দাবি! রাহুল গান্ধীকে তোপ বিজেপির]
গত মঙ্গলবার হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে ইডি। অরুণের বিরুদ্ধে দিল্লির আম আদমি পার্টির (AAP) নেতাদের ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইডির অভিযোগ অনুযায়ী, যে অর্থ কাজে লাগানো হয়েছে গোয়ায় আপের নির্বাচনী প্রচারে। দিল্লিতে মদের ব্যবসার অনুমোদন সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তে কবিতার নাম এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছিল। গত ডিসেম্বরে যখন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে অমিত অরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি, তখনই তারা জানতে পারে এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন তেলঙ্গানার (Telengana) মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা কবিতাও। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে তদন্ত এগোলে এও জানা যায় যে, কবিতার দু’টি ফোনে অন্তত ১০বার আন্তর্জাতিক মোবাইল ইকুইপমেন্ট পরিচিতি বদলানো হয়েছে। সেই সময়ে অর্থাৎ ডিসেম্বরেও কবিতাকে জেরা করেছিল দিল্লি মদ কাণ্ডের আরও এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে ইডিও তাদের অভিযোগ পত্রে কবিতার নাম উল্লেখ করলে এ নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করেছিলেন চন্দ্রশেখর-কন্যা। তিনি বলেছিলেন, বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে সস্তার চাল চালছে কেন্দ্রীয় শাসক দল।
সমন পাওয়ার পরই সুর চড়িয়েছেন কবিতা। তিনি জানিয়েছেন, ৯ তারিখ ইডির অফিসে যেতে পারবেন না। আইনি পরামর্শ নেবেন। তবে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কবিতা জানিয়েছেন, মহিলা সংরক্ষণ বিলের দাবিতে আগামী শুক্রবার ধরনায় বসবেন। সেই ধরনায় শামিল হতে পারে অন্য বিরোধী দলগুলিও। তবে তিনি ১১ মার্চ ইডি অফিসে হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন। বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করলেই যে তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয়, বিরোধীদের সেই অভিযোগ আরও জোরাল হল।