সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যালোপ্যাথি নিয়ে মন্তব্যের জের। এবার বাবা রামদেবকে (Baba Ramdev) সমন পাঠাল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। যোগগুরুর বিরুদ্ধে দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তথা DMA’র দায়ের করার অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ। এর আগে আইএমএ রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। এবার অভিযোগ ডিএমএ’রও।
বৃহস্পতিবার আদালতে ডিএমএ’র আইনজীবী রাজীব দত্ত জানান, জনসমক্ষে রামদেব বিজ্ঞান ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাই এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ডাক্তারদের নাগরিক অধিকারের কথা ভেবে। কেবল এই অভিযোগই নয়, এর পাশাপাশি পতঞ্জলির তৈরি করোনিল ট্যাবলেট সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য ও বিবৃতি দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে রামদেবের বিরুদ্ধে। এর আগে IMA ১ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। উঠেছিল তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিও।
[আরও পড়ুন: ভেগান মিল্ক ‘বিদেশিদের ষড়যন্ত্র’, PETA’র বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ আমুল]
ঠিক কী হয়েছিল? সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে যোগগুরু রামদেবকে বলতে শোনা গিয়েছিল,‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা আসলে বোকামি। চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে।” যোগগুরুর দাবি ছিল, করোনার বিরুদ্ধে একের পর এক অ্যালোপ্যাথি ওষুধ ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ, ওই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের আসল কারণ অনুসন্ধানই করা হয় না। এই মন্তব্যেরে জেরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাধ্য হয়ে সাফাই দেয় রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চিঠি লিখে রামদেবকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বাবা রামদেব প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও পালটা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে গোটা ২৫ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। যোগগুরুর প্রশ্ন, অ্যালোপ্যাথি যদি এতই ভাল হবে, তাহলে চিকিৎসকরা অসুস্থ হন কেন। অ্যালোপ্যাথি ২০০ বছরেও বহু রোগের ওষুধ তৈরি করতে পারেনি কেন? পরে তিনি আরও জানান যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা কারও নেই। তাঁর এই ধরনের মন্তব্যগুলি ঘিরে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।