সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সোমবারই খুলেছিল রাজধানীর সমস্ত স্কুল-কলেজ। মনে করা হচ্ছিল, দূষণের (Air pollution) কবল থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পাচ্ছে দিল্লি (Delhi)। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কী করে পূর্ণবয়স্করা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করা সত্ত্বেও ৩-৪ বছরের খুদেদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে, শীর্ষ আদালত এই প্রশ্ন তুলে কড়া ধমক দেয় কেজরিওয়াল সরকারকে। এরপরই দিল্লি সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় শুক্রবার থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে সমস্ত স্কুল (School)।
দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই এই ঘোষণা করার সময় জানিয়েছেন, ”ধীরে ধীরে পরিবেশের উন্নতি হবে, এমন পূর্বাভাস পেয়েই আমরা স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু দূষণ ফের বাড়তে শুরু করায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার থেকে স্কুল বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তা বন্ধই রাখা হবে।”
[আরও পড়ুন: আট বছরের সম্পর্কে ইতি টানছেন দেবলীনা-তথাগত? টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন]
এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল কেন্দ্র, দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিকে। যেভাবে শিল্প ও যানবাহন থেকে উদ্ভূত দূষণের মাত্রা বাড়ছে এবং সেটাই বায়ুর গুণগত মান হ্রাসের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।
দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে ভর্ৎসনা করে বলেন, ”তিন-চার বছরের শিশুদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু পূর্ণবয়স্করা বাড়িতে বসে কাজ করছে! আপনার সরকারের দিকে নজরদারি চালাতে আমরা কাউকে নিয়োগ করব।”
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতিতে যোগ দাও’, স্বরা ভাস্করকে পরামর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
গত মাসে দিওয়ালির সময় থেকেই দিল্লির দূষণ ভয়ংকর চেহারা ধারণ করে। নষ্ট শস্য়ের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়ায় সৃষ্ট দূষণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় পারস্পরিক চাপান উতোরের খেলা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, ১৩ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল-কলেজ। অবশেষে গত সোমবার থেকে ফের খুলে দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই তা বন্ধের নির্দেশ জারি করল আপ সরকার। আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত ধরনের নির্মাণ সংক্রান্ত কাজও।
