সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাজেটে বঞ্চনার প্রতিবাদে ফের দেশজুড়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। বুধবার হায়দরাবাদে বসতে চলেছে সংগঠনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানেই ঠিক হবে আন্দোলনের রূপরেখা।

শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের পেশ করা বাজেটে মূল্যবৃদ্ধি রোধ সম্পর্কিত কোনও দিশা ছিল না। গণবন্টন মাধ্যমের দ্বারা দেশবাসীকে যে চাল, গম, চিনি-সহ অন্যান্য পণ্যবন্টন করা হয়, সেই বিষয়েও পাওয়া যায়নি প্রায় কিছুই। এর পাশাপাশি মেলেনি রেশন ডিলারদের দীর্ঘদিনের কমিশন বৃদ্ধির দাবি নিয়েও কোনও সুরাহা। সব মিলিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট থেকে কিছুই পাননি দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা, রেশন ডিলাররাও। এমনটাই মনে করছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। ফলে কীভাবে এর প্রতিবাদে কেন্দ্রকে চাপে ফেলা যায়, সেই রূপরেখা তৈরি করতেই বৈঠকে বসতে চলেছে তারা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছে সংস্থার প্রতিনিধিদল। কথা হয়েছিল নীতি আয়োগের সঙ্গেও। আশা করা হয়েছিল, বাজেট থেকে ভাল কিছু জুটবে। তা না হওয়ায় ফের আসরে নামছে রেশন ডিলারদের সংগঠন। ৫ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে বসতে চলেছে সংগঠনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদিরও। যিনি এই সংগঠনের সহ-সভাপতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাজেটে মোবাইল, টিভি, এলইডির দাম কমলেও চাল, গম, চিনি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনও দাম কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। একইভাবে বাজেটে না বাড়ানো হয়েছে খাদ্যের ভর্তুকি। না রেশন ডিলারদের জীবিকার কোনও দিশা দেওয়া হয়েছে।”
বৈঠক প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “কোভিডের সময়ও আমরা যেভাবে নিজেদের প্রাণ বাজিতে রেখে রেশন পরিসেবা চালিয়ে গিয়েছিলাম, তার কোনও মূল্যই দিচ্ছে না সরকার। তবে দাবি আদায় করেই ছাড়ব। প্রয়োজনে দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকা হবে। কীভাবে আন্দোলন করা যায়, তা ঠিক করতেই বুধবার বৈঠকে বসছি আমরা।”