সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রতিবাদে শামিল দেশের গাড়িচালকরা। একাধিক ট্রাক সংগঠন হরতাল শুরু করেছে। প্রভাব পড়েছে এরাজ্যেও। জাতীয় সড়কগুলিতে ট্রাক থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চালাকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকার পক্ষের তরফে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। গোটা দেশে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পরিবহন ব্যবস্থা। এরকম চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে জ্বালানির ব্যাপক সংকট দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কেন হঠাৎ দেশজুড়ে প্রতিবাদে শামিল হলেন গাড়ি ও ট্রাকচালকরা? এর নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ড সংহিতার (Nyaya Sanhita) নয়া আইন। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বাতিল করে এবার কার্যকর হবে দণ্ড সংহিতা। পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে। বলা হয়েছে, হিট এন্ড রানের (Hit & Run) ক্ষেত্রে কারোওর মৃত্যুর পর যদি গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান, তাহলে ৭ থেকে ১০ বছরের সাজা হবে। ৭ লক্ষ টাকা জরিমানাও গুনতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানালেও এই সাজার মুখে পড়বেন গাড়ি চালকরা।
[আরও পড়ুন: যাঁকে তাঁকে যোগদান করানো নয়, দল ভাঙানোর আগেই ‘শুদ্ধিকরণ’ চাইছে বিজেপি, গড়া হল কমিটি]
ইন্ডিয়ান পেনাল কোডে এর আগে হিট অ্যান্ড রানের ঘটনায় আলাদা করে কোনও শাস্তির উল্লেখ ছিল না। পথ দুর্ঘটনায় কারোওর মৃত্যু হলে দোষীকে সর্বোচ্চ দুবছরের জেলের সাজা দেওয়া হত। জরিমানার শাস্তিও দেওয়া হত অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু নতুন দণ্ড সংহিতার হিট অ্যান্ড রান আইনে গাড়িচালকদের উপরেই যাবতীয় দোষ চাপানো হয়েছে বলে দাবি। গোটা দেশের বাস ও ট্রাক চালকদের দাবি, হিট এন্ড রানের নতুন আইনে চালকদের ভিলেন বানানো হয়েছে। ৭ থেকে ১০ বছরের সাজা কমিয়ে ১ থেকে ২ বছরের করা উচিত। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকার পক্ষের তরফে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি।