সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তরপ্রদেশ (UttarPradesh)। মুসলিম প্রৌঢ়কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এমনকী, তাঁর দাড়িও কেটে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? চলতি মাসের গত ৫ তারিখ গাজিয়াবাদের লোনি এলাকার মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন আবদুব সামাদ। অভিযোগ, কয়েকজন যুবক তাঁকে অটো থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঝোপঝাড়ে ঢাকা এলাকায় নিয়ে গিয়ে আবদুলকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত যুবকরা। জয় শ্রীরাম বলতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। আবদুল তাদের কথা না মানায় রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মারা হয়।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের মহাজোটে ফাটল! বিধানসভা নির্বাচনে ‘একলা চলো’র সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের]
আবদুলের আরও অভিযোগ, লাল টিশার্ট পরা এক যুবক তার গলায় ছুরি রেখে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করে। তিনি ওই ধ্বনি দিতে অস্বীকার করলে দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। এমনকী, তাঁকে পাকিস্তানি চর বলেও কটাক্ষ করে ওই যুবকেরা। এই ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি আবদুল। আতঙ্কিত ওই প্রৌঢ় কাঁপা কাঁপা গলায় তাঁর অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানিয়েছেন, অটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই অটোতে আরও দুই যুবকও ওঠে। তারা আমাকে জোর জবরদস্তি করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে মারধর করে। জোর করে স্লোগান বলতে বাধ্য করা হয়। দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। এমনকী, ওই যুবকেরা আমাকে বলেছিল তারা এর আগেও একাধিক মুসলিমকে মারধর করেছে। খুন করতেও ভয় পায় না তারা।
এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পরবেশ গুজ্জর বলে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।