সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নিশ্চিত করুন লকডাউনে দেশের কোনও মানুষ অভুক্ত থাকবে না’, এই দাবি জানিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। লকডাউন মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে দেশের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশষ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সোনিয়া গান্ধী জানান কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বহাল রাখা উচিত। কারণ, লকডাউনের দেশের অর্থনীতি ক্রমেই করুণ পরিণতিতে পৌঁছচ্ছে। তাই সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে এই সিদ্ধান্ত তাদের সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রীর টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছিল। ফলে বাজার করার ও ঘরে খাবার মজুত করার হিড়িক পরেছিল মানুষের মধ্যে। তবে এখন দেশে যেহারে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে তাতে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির ঘোষণা করলে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন সকলে। তাই প্রধানমন্ত্রী আগামিকাল সকাল ১০টায় বক্তব্য রাখবেন এটা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই চাপা উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে দেশবাসীর মধ্যে। তাই সোমবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। চিঠিতে তিনি আবেদন করে জানান, “আশা করি আপনি এই চিঠিটা পেয়েছেন। লকডাউনের জেরে দেশের লক্ষাধিক মানুষ খাদ্যশষ্য নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এটা খুবই ভাল যে মহামারি কাটিয়ে আমাদের মত দেশে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশষ্য মজুত রয়েছে। এমাতবস্থায় এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশের প্রতিটি পরিবার পিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশষ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত আপনি নিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।” তবে তিনি চিঠিতে আরজি করেন, “লকডাউন কেটে গেলেও দেশের অর্থনীতি দ্রুত চাঙ্গা করা সম্ভব নয়। তাই পরিবার পিছু বিনামূল্য খাদ্যশষ্য দেওয়ার সিদ্ধান্তকে যদি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে অনেক গরিব পরিবার মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস দেখাতে পারবে। কারণ এই লকডাউন দেশবাসীর জীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে যা সহজে মুছে দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই এনএফএসএ (NFSA) তরফ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে ৫ কেজির পরিবর্তে ১০ কেজি খাদ্যশষ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।”
[আরও পড়ুন:লকডাউন কি শিথিল হবে? জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে মিলতে পারে উত্তর]
কংগ্রেস সভানেত্রীর দাবি, এই পন্থা অবলম্বন করা হলে মানুষের মধ্যে সরকারের প্রতি একদিকে যামন আস্থা বাড়বে, তেমনই তারা খাদ্যশষ্য নিয়ে আশঙ্কায় ভুগবেন না। এতে মানুষের রোজ রাস্তা বের হওয়ার ও বাজার করার চিন্তা ক্রমেই হ্রাস পাবে। সকলে বাড়িতে থাকতে আশ্বাস্ত হবেন। ফলে সকলেই লকডাউনের নিয়মাবলী মেনে চলবেন। এই লকডাউনের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিযাযী শ্রমিকেরা। এখনও বহু শ্রমিক বাড়ি ছাড়া আটকে রয়েছেন অন্য রাজ্যে। ফলে সেই শ্রমিকদের পরিবারের কেউ অনাহারে মরবেন না।
[আরও পড়ুন:করোনা মুক্ত হয়েও প্রতিবেশীদের রোষানলে, মানবিকতার আরজি যুবকের]
The post ‘নিশ্চিত করুন দেশের কোনও মানুষ অভুক্ত থাকবে না’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে আরজি সোনিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.
