সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন নিজেদের দেশেই প্রাণভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandit exodus)? কেন এমন হিংসার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের? ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) নামের ছবিটিকে ঘিরে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্কে বারবার উঠে এসেছে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম। এবার মুখ খুললেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দাবি জানালেন, যদি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আসল সত্য়িটা তখনই জানা যাবে, যখন কোনও সৎ বিচার কমিটি নিয়োগ করা হবে। তখনই সবাই জানতে পারবে কারা দায়ী। যদি ফারুক আবদুল্লা দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে দেশের যে কোনও প্রান্তে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক। আমি সেই বিচারের মুখে পড়তে রাজি আছি। কিন্তু যাঁরা দোষী নন, তাঁদের দায়ী করা বন্ধ হোক।”
[আরও পড়ুন: উপপ্রধান খুনের পর অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, আগুনে পুড়ে মৃত ১২, অধিকাংশই মহিলা]
পরে তিনি বলেন, ”আমি মনে করি না আমি দোষী। যদি মানুষ তেতো সত্য়িটা জানতে চান, তাহলে তাঁরা বরং সেই সময় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধানের সঙ্গে কথা বলুন। কিংবা কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ যিনি সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন তাঁর সঙ্গেও কথা বলা যেতে পারে।”
এরই পাশাপাশি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটিকে ‘প্রোপাগান্ডা ছবি’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। ফারুকের দাবি, কেবল কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই নন, সেই সময় কাশ্মীরের শিখ ও মুসলিমদেরও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই সময়ের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে ফারুক জানাচ্ছেন, ”আমার বিধায়করা, ছোট কর্মীরা, মন্ত্রীরা সকলকে তাঁদের মাংস উদ্ধার করতে হয়েছিল গাছের উপর থেকে। এটাই ছিল পরিস্থিতি।”