সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও খোঁজ মেলেনি খলিস্তানি (Khalistan) নেতা অমৃতপাল সিংয়ের (Amritpal Singh)। তাঁর সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পাঞ্জাব পুলিশ। ইতিমধ্যেই অমৃতপালের বাড়িতেও তিন-চার ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়েছে। এর মধ্যেই তাঁর বাবা তারসেম সিং দাবি করলেন, অমৃতপাল যেহেতু ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে তারসেমের দাবি, ”পাঞ্জাবের (Punjab) ঘরে ঘরে ড্রাগস রয়েছে।”
ঠিক কী বলেছেন তারসেম? তাঁর কথায়, ”পুলিশ অমৃতপালের পিছনে পড়ে রয়েছে। কিন্তু ড্রাগ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না। আমার ছেলে তো কয়েক মাস আগে দেশে ফিরেছে। এর আগে যত অপরাধ হয়েছে, তখন পুলিশ কী করেছে? আসলে অমৃতপাল ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। সেই কারণেই ওকে গ্রেপ্তার করার জন্য রাজনৈতিক মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওর বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করা হয়েছে তা অনৈতিক। পাঞ্জাবে ঘরে ঘরে ড্রাগস। কিন্তু সেদিকে কোনও নজর দেওয়া হচ্ছে না। যদি কেউ ড্রাগের দৌরাত্ম্য শেষ করার চেষ্টা করে তাকে এভাবেই থামিয়ে দেওয়া হয়।” সেই সঙ্গে তারসেমের আরও দাবি, তাঁর ঘরে অতক্ষণ তল্লাশি চালিয়েও পুলিশ কিছুই পায়নি।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড, দাউদাউ করে জ্বলছে NT-1 স্টুডিওর একাংশ]
খলিস্তানি সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’র প্রধান অমৃতপাল। গত মাসেই তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুচর লভপ্রীত তুফানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই অমৃতপাল লভপ্রীতের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করতে আরজি জানান। সাফ জানিয়ে দেন, “এক ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত অভিযোগ খারিজ না করলে ফল ভাল হবে না। অভিযোগ বাতিল না করলে যদি কোনও সমস্যা হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে শুধুমাত্র প্রশাসন।” এরপরই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। থানা ঘেরাও করেছিলেন অমৃতপালের অনুগামীরা। হামলায় আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী।
উল্লেখ্য, ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ তৈরি করেছিলেন প্রয়াত রাজনীতিবিদ দীপ সিধু। তাঁর মৃত্যুর পরই সংগঠনের দায়িত্ব বর্তায় অমৃতপালের উপরে। অমৃতপাল পলাতক। তাঁকে ধরতে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ফেরার অমৃতপালের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীও। এই অবস্থায় পাঞ্জাবে জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা।