সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব পেশ হতে আর একমাসও বাকি নেই। তবে তা নিয়ে জল্পনা চালু হয়ে গিয়েছে নিশ্চিতভাবেই। অন্যদিকে মন্ত্রক সূত্রেও খবর, এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে নাকি সুখবর থাকতে পারে বেতনভুক আয়করদাতাদের জন্য। ১৫ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে মিলতে পারে আয়করে রেহাই।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সেটা একরকম পাকা। গত বছর তৃতীয়বারের জন্য মোদি মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পর বাজেট পেশ করেছিলেন নির্মলা। যদিও তাতে বড় কোনও চমক ছিল না। আয়করেও কোনও সুখবর দেয়নি কেন্দ্র। তবে এ বছরের বাজেট প্রস্তাবে আগামী অর্থবর্ষের জন্য নতুন কর কাঠামোর করদাতাদের ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে একাধিক স্ল্যাবে কর ছাড় মিলতে পারে। এর ফলে প্রধানত শহরাঞ্চলের বাসিন্দা বেতনভুকদেরই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরোক্ষে নতুন কর কাঠামোর অধীনে প্রতিটি করদাতাকে টেনে আনার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলেই অনুমান।
বর্তমানে নতুন কর কাঠামোয় প্রথম তিন লক্ষ টাকা আয়ে কোনও কর দিতে হয় না। তিন লক্ষ থেকে ছয় লক্ষ আয়ে ৫ শতাংশ, ছয় থেকে নয় লক্ষ আয়ে ১০ শতাংশ, ১০ থেকে ১৫ লক্ষ আয়ে ২০ শতাংশ এবং তার উপরে ৩০ শতাংশ। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, আয়ের অঙ্ক ১৫ লক্ষ পার না করলে করের বাড়তি বোঝার কোনও শঙ্কা নেই। বরং ছাড়ের অঙ্কের সুখবরই থাকবে করদাতাদের জন্য।
সরকারের তরফে একাধিকবার বলা হয়েছে বছরে ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন যাঁার তাঁদের উপর করের বোঝা যতটা সম্ভব হাল্কা করতেই কেন্দ্র সদা তৎপর। মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে নানাভাবে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানত শহরাঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য করছাড়ের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা অর্থমন্ত্রকের। বিশেষত শহরাঞ্চলের করদাতাদের হাতেই অর্থের লেনদেন বেশি হয় বলে এই অঞ্চলটিকেই অগ্রাদিকার দেওয়া হয়েছে সবসময়ে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, করকাটাণোর প্রতিটি ধাপেই যদি নূন্যতম একলক্ষা টাকা করে বাড়তি ছাড় দেওয়া হয় তবে তার দ্বারা আখেরে দেশের অর্থনীতির চাঙ্গা করা সম্ভব হবে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুধীর কাপাডিয়া বলেছেন, “শহরাঞ্চলের করদাতারা সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে থাকেন। অর্থের ব্যবহার যত বেশি হবে ততই দেশের অর্থনীতির জন্য তা মঙ্গলজনক। করকাঠামোর প্রতিটি ধাপের পরিধি যদি ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায় সেদিকেই নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রের।” আগামী অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধে্য সাড়ে সাত লক্ষ কোটি রাজস্ব বৃদ্ধি করার দিকেই নজর দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।