সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্ন উঠেছিল, বেছে বেছে সংখ্যালঘু উন্নয়নে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা NGO গুলিরই কি বিদেশি অনুদান পাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Government) ? যে-সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদেশি অনুদান পায় কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে, তাদের বিদেশি অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। সংস্থার অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করারও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও শনিবার সেই তালিকায় মাদার টেরিজার সংস্থাকে ফেরানো হয়েছে। দুই সপ্তাহ বাদে বিদেশি অনুদান পাওয়ার যোগ্যতার তালিকায় ফেরানো হল পৃথিবী বিখ্যাত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিকে। শনিবার এফসিআরএ-র (Foreign Contribution Regulation Act 1976) ওয়েবসাইটে দেখা গিয়েছে মিশনারিজ অব চ্যারিটির নাম।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর মাদারের সংস্থার এফসিআরএ লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছিল। স্বভাবতই এর ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তে সেই সমস্যার সমাধান হল। শনিবার এফসিআরএ-র ছাড়পত্র মেলায় ফের বিদেশি অনুদান পেতে অসুবিধা হবে না সংস্থাটির। তবে কেন ফের সংস্থাটিকে বিদেশ অনুদানের ছাড়পত্র দেওয়া হল সেই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: মাদার টেরিজার সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’, আর্থিক সাহায্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর]
মাদারের সংস্থার ছাড়পত্র বাতিল হওয়ার পরেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ছাড়পত্র ফেরানোর পর কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি টুইট করেন, “ভালবাসার শক্তি ৫৬ ইঞ্চির শক্তির থেকে বেশি।” ডেরেক আরও লেখেন, “মাদারের সংস্থা মিশনারিজ অফ চ্যারিটির এফসিআরএ ছাড়পত্র ফেরানো হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করে হেনস্তা করা হল, দুই সপ্তাহ পরে সব ঠিক হয়ে গেল।”
[আরও পড়ুন: মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘বন্ধ’ করল কেন্দ্র, গর্জে উঠলেন মমতা]
যদিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে মুখ খোলার পর সম্পূর্ণ অন্য কথা জানিয়েছিল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি (Missionaries of Charity)। তারা জানায়, কেন্দ্র তাদের কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি। বরং, সংগঠনের পক্ষ থেকেই সব শাখাকে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। মাদারের সংস্থা যেদিন একথা জানায়, সেদিনই একই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফেও। যদিও সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কোন কারণে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক সংস্থাটিকে কয়েক লক্ষ টাকা সাহায্য করলেন!