সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক সচেতনতা হওয়া ইস্তক কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন। অনুপ্রেরণা অবশ্যই প্রয়াত বাবা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেব। বাবাকে দেখেই কংগ্রেসী ঘরানার প্রতি আগ্রহ এবং সক্রিয় সদস্য হিসেবে যোগদান। দলের সাংসদ, মুখপাত্র, মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি – একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। দলের প্রতি একনিষ্ঠ নেত্রী সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev) এবার দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করলেন কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি পাঠিয়ে তিনি দলত্যাগের কথা জানালেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই সুস্মিতাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সুস্মিতা কি তৃণমূলে যোগ দেবেন?
সোনিয়া গান্ধীকে তিনি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘‘জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক শেষ করছি। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ। তিন দশকের স্মৃতি আমি সারাজীবন মনে রাখব।’’ তাঁকে রাজনৈতিক জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সোনিয়াকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সুস্মিতা দেব। ২০১৪ সালে অসমের শিলচর (Silchar) থেকে সাংসদ হয়েছিলেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা জনপ্রিয় রাজনীতিক সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। তবে সম্প্রতি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে তাঁর মতামত দল গুরুত্ব দেয়নি বলে ঘনিষ্ঠ মহলে আক্ষেপ করেছিলেন তিনি। তার জেরেই শেষমেশ কংগ্রেস ত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যু, বাড়ছে টিকাকরণের গতি]
তবে কি রাজনৈতিক কেরিয়ারে ইতি টানছেন সুস্মিতা দেব? নাকি শুরু করবেন নতুন কোনও ইনিংস? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সুস্মিতা। সম্প্রতি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে যেভাবে তৃণমূল প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, তাতে অনেকেরই অনুমান, সুস্মিতার কাছেও প্রস্তাব যেতে পারে তৃণমূলের তরফে। তবে এসব জল্পনা সত্যি করে সোমবার দুপুরেই ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পৌঁছে যান সুস্মিতা। এর আগে অসমের CAA বিরোধী নেতা অখিল গগৈকে দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব। তবে রাজনীতিতে তো একাধিক সম্ভাবনা থেকেই যায়, তাই সবটাই এখনও অনুমান নির্ভর। বাস্তবে কী ঘটতে চলেছে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানেন না কেউ।