সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা পাচারের নতুন নতুন কৌশলে জেরবার কাস্টমসের আধিকারিকরা। অস্ত্রপচারে চামরার ভিতরে, গিলে খেয়ে অথবা অস্ত্রপচারে পেটের মধ্যে করে সোনা পাচারের কথা হামেশাই সোনা যায়। তেমন কাজ না করায় শুরুতে ঘোল খান গোয়েন্দারা। তবে সন্দেহজনক হাবভাব দেখে বিমানবন্দর থেকে ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট পরীক্ষার পর চমকে যায কাস্টমস। ওই যাত্রী পায়ুদ্বারের ভিতর সোনা ভরে রেখেছিলেন। সোনার পেস্ট তৈরি করে তা পায়ুদ্বারে ভরে রেখেছিলেন তিনি।
কাস্টমস ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঘটনাটি গুজরাটের (Gujarat) আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটেছে। বিমানে চেপে সোনা পাচার করতে গিয়ে কাস্টমসের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েন ওই যাত্রী। পেস্ট বানিয়ে পাযুদ্বারে ভরে ওজনের সোনা পাচার করছিলেন তিনি। যদিও এত করেও শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ে যান তিনি। এর পর হাসপাতালে চিকিৎসকরা সাড়ে পাঁচ কিলোগ্রাম সোনা উদ্ধার করেন।
[আরও পড়ুন: তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি সুকান্তর, জাতীয় অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে দিলীপ-শমীক]
গুজরাট বিমানবন্দরের কাস্টমস আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, সাধারণত পাচারকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরা, মিক্সার গ্রিন্ডার, ইলেকট্রিক কেটলির ভিতর সোনা ভরে পাচারের চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে সোনার পেস্ট বানিয়ে শরীরের ভিতরে পায়ুদ্বারে রেখে পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। চলতি আর্থিকবর্ষে এখনও পর্যন্ত ১০০ কিলোগ্রাম ওজনের সোনা পাচারের সময় উদ্ধার হয়েছে।