সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশি গরুর দুধে সোনা আছে! কোনও গরুকে হত্যা করলেই ভূমিকম্প হবে! ভোপালে (Bhopal) যে বাড়ির দেওয়ালে গোবর শুকোতে দেওয়া হতো, গ্যাস দুর্ঘটনার সময় সেগুলোর কিন্তু কোনও ক্ষতি হয়নি! শুনতে অবাক করা এই কথাগুলো আসলে পরীক্ষার সিলেবাস। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের প্রথম অনলাইন পরীক্ষার পাঠ্যক্রমে এমনই সমস্ত বিষয় থাকছে।
দেশের মধ্যে কর্ণাটক (Karnataka), মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মতো বিজেপিশাসিত রাজ্য এর আগে গো–হত্যা বন্ধে কঠোর আইন এনেছে। এমনকী শিবরাজ সিং চৌহান সরকার একেবারে মন্ত্রকই তৈরি করে ফেলেছে। কর্ণাটক বিধানসভা সম্প্রতি সাক্ষী থেকছে গো–মাতার পুজোরও। এই পরিস্থিতিতে এবার নেওয়া হবে গো–পরীক্ষা। পরীক্ষার উদ্যোক্তা রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের তরফে জানানো হয়েছে, পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কামধেনু গৌ–বিজ্ঞান প্রচার–প্রসার নামে এই পরীক্ষার প্রশ্নগুলো মাল্টিপেল-চয়েসের মতো হবে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং কলেজ পড়ুয়াদের জন্য পৃথক পৃথক বিভাগ থাকবে। যে প্রার্থীরা পরীক্ষায় পাস করবেন, তাঁদের পুরস্কার এবং বিশেষ শংসাপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়া পরীক্ষায় বসতে লাগবে না কোনও অর্থও।
[আরও পড়ুন: ফেসবুকের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টে সাড়া দেননি প্রাক্তন বস, মেজাজ হারিয়ে এ কী করলেন যুবক!]
তবে সংস্থার ওয়েবসাইটে দেওয়া পাঠ্যক্রম নিয়েই কিন্তু আলোচনা সবচেয়ে তুঙ্গে। তাতে বলা হয়েছে, দেশি গরু বুদ্ধিমান এবং চালাক। তারা কখনই নোংরা জায়গায় বসে না। কিন্তু জার্সি গরুগুলি সাধারণ কুঁড়ে হয়। এদের মাধ্যমে রোগও ছড়ায়। সঙ্গে পাঠ্যক্রমে আরও বলা হয়েছে, যখনই কোনও অপরিচিত মানুষ দেশি গরুর কাছে আসে, তখনই সে দাঁড়িয়ে যায়। অন্যদিকে, বিদেশি গরু কখনই কোনওরকম অনুভূতি প্রকাশ করে না। এই পরীক্ষা প্রসঙ্গে সংস্থার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর পরীক্ষা হবে। যে কেউ এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। মূলত দেশি গরু নিয়ে আমজনতার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তাঁর দাবি।