সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হল শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ হল সব মিলিয়ে ৮৮টি আসনে। দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালের তুলনায় ভোট পড়ল অনেকটাই কম। প্রায় ১০ শতাংশ কম।
জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে ৫টা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবে দেশে ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ। এর মধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, অসম, ত্রিপুরা ও বাংলায় ভোটদানের হার ৭০ শতাংশের বেশি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে ভোট পড়ল যথাক্রমে ৫২.৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ ও ৫৩.৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে মোট ভোট পড়েছিল ৬৯.৪৩ শতাংশ। যদিও এখনও ভোটদানের চূড়ান্ত হারের হিসেব মেলেনি, তবে এটা পরিষ্কার গতবারের চেয়ে অনেক পিছনেই থাকবে পরিসংখ্যান। কিন্তু কেন? প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও ভোটদানের হার কেন গতবারের থেকে কম?
[আরও পড়ুন: বুলেটে ব্যালট রোখার ছক জেহাদিদের! ভোটের কাশ্মীরে খতম লস্কর জঙ্গি]
১) একটা মত হল, ভোটের হার কমের দিকে থাকার অর্থ শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। অর্থাৎ যে 'মোদি ঢেউ'-এর কথা বার বার বিজেপিকে (BJP) বলতে শোনা যাচ্ছে, সত্যিই হয়তো তেমন আলোড়ন নেই।
২) অন্য মত আবার উলটো কথা বলছে। অর্থাৎ মোদির পুনরাগমন এতটাই নিশ্চিত এবং বিরোধীদের সেভাবে প্রচারে ঝড় তুলতে দেখা যাচ্ছে না, তাই মানুষ ভোট দিতেও বিরাট হারে আসছেন না। কোনটা যে সঠিক, অর্থাৎ ভোটের হার কমার পিছনে আসল কারণ কী, তা হয়তো ৪ জুনের আগে বোঝা যাবে না।
৩) তবে ভোটের হার কমার পিছনে রয়েছে অন্য সম্ভাবনাও। যার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে প্রধান ইস্যু হল আবহাওয়া। গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে ভোটাররা বুথমুখী হতে চাইছেন না, এমন মতও শোনা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে লড়তে নারাজ! রায়বরেলি থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফেরালেন বরুণ গান্ধী]
৪) আর একটা মত হল, যেহেতু শুক্রবার ভোট পড়েছে, তাই সেই উপলক্ষে পাওয়া ছুটিকে শনি-রবির সঙ্গে জুড়ে লম্বা উইকেন্ড বানিয়ে অনেকেই ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন। ভোটদানে তাঁদের উৎসাহ নেই। সার্বিক ভাবে ভোটদানের হার কমছে সেই কারণেই।
৫) অন্য একটি মতও রয়েছে। এটা বিয়ের মরশুম। প্রিয়জনদের বিয়ে উপলক্ষে অনেকেই অন্যত্র যাচ্ছেন কিংবা নিজের এলাকায় থাকলেও ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন আনন্দ অনুষ্ঠানে। সেই কারণেও ভোট দিতে যাওয়ার আগ্রহ কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।