সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানকে এক বিন্দু জলও দেওয়া হবে না। আর সেজন্য ভারত সরকারের ‘তিনটি’ পৃথক পরিকল্পনা রয়েছে। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সি আর পাটিল। মন্ত্রীর কথায়, “স্বল্পমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি এবং মধ্যবর্তী পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোনও একটি পরিকল্পনা নেওয়া হবে যাতে পাশ্ববর্তী দেশ এক ফোঁটা জলও না পায় তা নিশ্চিত করতে।” তবে এই পরিকল্পনাগুলির বিষয়ে বিশদে কিছু জানাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
শুক্রবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজের বাসভবনে একটি বৈঠক করেন। অনেকের সঙ্গেই সেখানে ছিলেন পাটিলও। ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখা নিয়ে পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সরকারি এক সূত্রের দাবি, এদিনের বৈঠকে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি পরবর্তীতে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়েও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়। জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আইনি পথেও মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। যদি পাকিস্তান বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করে, সেক্ষেত্রে আইনিভাবে তার বিরোধিতা করার প্রস্ততিও নিচ্ছে নয়াদিল্লি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করার কথা জানায় নয়াদিল্লি। এর মধ্যে ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত। আর ভারতের এমন সিদ্ধান্তের পরই পাকিস্তানের তরফেও একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণার সমান চোখে দেখছে বলে এক বিবৃতিতে জানায় তারা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন হুঙ্কার। এর পর পরিস্থিতি কোন দিকে এগোই সেটাই এখন দেখার।
