সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহাসিক মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s Reservation Bill)আইন হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বিনা বাধায় সংসদের উচ্চকক্ষে তা পাশ হয়ে গেল। রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) বিলটির বিপক্ষে একটিও ভোট পড়েনি বলে খবর। বিলের পক্ষে পড়েছে ২১৫ টি ভোট। মহিলা সংরক্ষণ বিলের একমত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বিরোধীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এবার রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষা, তারপরই আইনে পরিণত হবে ঐতিহাসিক বিলটি।
হিসেবনিকেশ এবং প্রত্যাশামতোই বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়েছে। তবে বুধবার লোকসভা বিলের বিরোধিতার পুনরাবৃত্তি হল না সংসদের উচ্চকক্ষে। বুধবার লোকসভায় বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২ সাংসদ। রাজ্যসভায় একজনও তার বিরোধিতা করলেন না। আর তাতেই আইন হওয়ার পথে মসৃণভাবে একধাপ এগিয়ে গেল ‘নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম’। ঐতিহাসিক এই বিল রাজ্যসভায় পাশের পর X হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ”গণতান্ত্রিক দেশের উন্নতিতে একটা দারুণ সুন্দর মুহূর্ত। ১৪০ কোটি ভারতবাসীকে অভিনন্দন। বিরোধীদের এই একতায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আইনে পরিণত হলে আমাদের দেশের নারীর ক্ষমতায়ন আরও প্রসারতা লাভ করবে। সেইসব নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, যাঁরা আমাদের দেশের জন্য আত্মবলিদানের নিদর্শন রেখে গিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: মতপ্রকাশের দোহাই দিয়ে খলিস্তানিদের সমর্থন! ট্রুডোকে তোপ দলীয় সাংসদেরই]
অতীতে একাধিকবার এই মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা হয়েছে। মূলত সমাজবাদী পার্টি এবং আরজেডির এই বিলে প্রবল আপত্তি জানিয়ে এসেছে। ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে লোকসভায় ওই বিল পেশ করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী এম থাম্বিদুরাই। কিন্তু সেই বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলেন আরজেডির এক সাংসদ। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উদ্যোগে, ২০০৮ সালে রাজ্যসভায় ওই বিল পাশ করানোর চেষ্টা হয়। সেবারেও বিরোধিতা করে আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টি। সেই সমস্ত বাধা পেরিয়ে এবার সংসদের দুই কক্ষে পাশ মহিলা সংরক্ষণ বিল। এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) কাছে তা পাঠানো হবে। তিনি বিলে সই করলেই ঐতিহাসিক বিল পরিণত হবে আইনে।