বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: মোদি বা বিজেপি কোনও ‘ফ্যাক্টর’ নয়। সংঘ পরিবারকে ঠেকাতে পারলেই কেন্দ্রের সরকারের পতন হবে। সেক্ষেত্রে দেশের সংঘ পরিবার বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের মঞ্চে নিয়ে আসার কাজ করতে হবে বলে একমত হলেন জোটের শরিক নেতৃত্ব।
শুক্রবার রাজধানীতে সেই কাজই শুরু হলো। এদিন প্রায় ৫০টির বেশি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে একত্রিত করল ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে জোটের হয়ে প্রচার চালাতে ২০টি গণ সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় সংঘ পরিবার ও বিজেপির মিথ্যাচারের মোকাবিলা করতে একটি ‘টিম’ তৈরি করতে হবে। কীভাবে এই মিথ্যাচারের মোকাবিলা সম্ভব দ্রুত সেই রণকৌশল ঠিক করতে হবে ইন্ডিয়া জোটকে।
[আরও পড়ুন: নগ্ন ছবিতে ‘না’ দুই কিশোরীর, আমেরিকায় বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রেপ্তার পেরুর যুবক]
বাস্তব প্রয়োজনের তাগিদে ইন্ডিয়া জোটে সামিল হওয়া রাজনৈতিক দলের সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে একমত জোটে থাকা ডান বাম দলের নেতৃত্ব। এদিন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান কমিউনিস্ট, গণতান্ত্রিক, সোশ্যালিস্ট এবং ভারত জোড়ো (Bharat Jodo) অভিযানের পক্ষ থেকে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক করে। সেখানেই কংগ্রেসের তরফে দিগ্বিজয় সিং জানান, সংঘ পরিবার গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। তাদের বিচারধারা এখনও ১০০ বছর পুরনো। কিন্তু সেই সংগঠনই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিচালনা করছে। আগে সেই সংগঠনের মোকাবিলায় সমস্ত রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে ইন্ডিয়া জোটের মঞ্চে আনতে হবে।
[আরও পড়ুন: বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা! অবশেষে ‘কোটিপতি’ কনস্টেবলের সেই বান্ধবীর মিলল খোঁজ]
আজ থেকে সেই কাজ শুরু হলো। ইন্ডিয়া জোট গঠন হয়েছে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বা বিজেপির বিরোধিতার জন্য নয়। তাদের আদর্শ, নীতি ও মানসিকতার বিরোধিতা করতে। ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forword Block) সাধারণ সম্পাদক ডি দেবরাজন জানান, মোদি (Narendra Modi) ইন্ডিয়া জোটকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে দাগিয়ে দিচ্ছে। পালটা মোকাবিলায় মোদি সরকারের দুর্নীতি মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সমস্থ গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠনকেও এই প্রচার নিয়ে গ্রামে যেতে হবে। বিজেপি সরকার যে ওবিসি (OBC) বিরোধী সেই প্রচারও করতে হবে। কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব জানান, সমস্ত সংগঠনকে একত্রিত করতে পারলে মোদিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া সম্ভব। সিপিআইএমএল লিবারেশন (CPIM-L) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য প্রস্তাব দেন ইন্ডিয়া জোটের ২৮ দলের বাইরে থাকা অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে মঞ্চে আনতে পারলেই জোট সফল হবে। সেই কাজ জোট শরিকদের দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। তবে এখনই অভিন্ন ন্যুনতম কর্মসূচি তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।