সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্য নয়। সম্মিলিত সিদ্ধান্ত 'ইন্ডিয়া' জোটের সাংসদদের। এমনকী ধনকড়ের সঙ্গে ন্যূনতম চা-কফির সম্পর্কও রাখা হবে না বলে ঠিক করেছে বিরোধী শিবির। এমনটাই সূত্রের খবর।
তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, শিব সেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ) এবং ডিএমকে সাংসদরা ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যানকে এড়িয়ে চলা ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন। কংগ্রেস সাংসদদেরও তেমন করার কথা। যদিও দু'-একজন সাংসদ ধনকড়ের সঙ্গে এর মধ্যে সাক্ষাৎ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে দলগতভাবে কংগ্রেসও ধনকড়কে কার্যত বয়কট করার পক্ষে।
ধনকড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সংসদে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অনাস্থা বা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছে ইন্ডিয়ার তরফে। বিরোধী সাংসদদের কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীরা কথা বলতে উঠতে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও তা মানা হচ্ছে না। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিক অন্যান্য বিরোধী দলগুলি সমর্থন করেছে এই প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আগেই ধনকড়কে একপ্রকার বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সোমবার সংবিধানের ৭৫তম বর্ষের আলোচনা শুরু হবে রাজ্যসভায়। তাতে অংশ নেবেন তৃণমূলের ১০-১১ জন সাংসদ। তুলে ধরা হবে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ছবি। সূত্রের খবর, তিন মিনিটের বক্তব্যে প্রত্যেকে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন। সংবিধানের প্রস্তাবনার একেকটি শব্দ নিয়ে (আমরা ভারতের জনগণ, সার্বভৌম, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি) একেকজন সাংসদ আলোচনা করবেন। এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাষাতেও কথা বলতে পারেন তৃণমূল সাংসদরা।
এদিকে ইতিমধ্যেই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় প্রিভিলেজ মোশন দায়ের হয়েছে। গত কয়েকদিন লোকসভায় কোনও বিজেপি সাংসদ বিরোধীদের উদ্দেশে অপমানজনক কিছু বলেছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। কোনও সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই একইভাবে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনবে রাজ্যের শাসকদল।