সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ভাষণ দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইস্যু ধরে ধরে তোপ দাগলেন গান্ধী পরিবারের প্রতিটি প্রজন্মকে। সংবিধান নিয়ে আলোচনায় মোদির ওই ভাষণকে বিরোধীদের মিথ্যাচারের বেশ ঝাঁজালো জবাব বলেই মনে করছিল বিজেপি। কিন্তু সদ্য সংসদে প্রবেশ করা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদির এই ভাষণকে যেন ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন। বলে দিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই দীর্ঘ ভাষণ পর পর দুটো অঙ্ক ক্লাসের মতোই বোরিং।
প্রিয়াঙ্কার কথায়, "প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নতুন কিছুই নেই। পুরনো কথাগুলিই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলেছেন। বক্তব্য শুনে যেন কয়েক দশক আগের সেই স্কুলে বসে অঙ্কের পর পর ক্লাস করার মতো লাগছিল। আমাদের ভীষণ বোর করেছেন মোদি। ভাষণের সময় সংসদের সবাই বিরক্ত হচ্ছিলেন।" কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের দাবি, বিজেপি নেতারাও মোদির ভাষণে বিরক্ত হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, "জেপি নাড্ডা হাত কচলাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নজর পড়ার পর এমন ভাব করলেন যেন মন দিয়ে শুনছেন। অমিত শাহ মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন। আর পীযূষ গোয়েল তো প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন।"
শনিবার সংসদে সংবিধান দিবসের জবাবি ভাষণে প্রজন্ম ধরে ধরে গান্ধী পরিবারকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরার জরুরি অবস্থা থেকে রাজীবের শাহ বানো মামলা। নেহেরুর ৩৭০ ধারা থেকে সোনিয়ার ন্যশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে সব ইস্যুই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধান সংসদে গৃহীত হওয়ার পর ৭৫ বছরে ৫৫ বছরই রাজত্ব করেছে একটা পরিবার। কংগ্রেসের সেই পরিবার সংবিধানকে আঘাত করার কোনও সুযোগ ছাড়েনি।” দুর্নীতি ইস্যুতেও কংগ্রেসকে বিঁধেছিলেন মোদি। যার পালটাও এল মোদির তরফে।
কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলছেন, মোদির যখন দুর্নীতি এতই অপছন্দ তাহলে তিনি আদানি ইস্যুতে কেন আলোচনায় সায় দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর গোটা ভাষণে আদানি ইস্যুর কোনও উল্লেখ নেই কেন? প্রিয়াঙ্কা যেভাবে মোদির ভাষণকে বোরিং বলে দিলেন, সেটা সাম্প্রতিক অতীতে বেনজির।