সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের ১৫ আগস্টই তালিবানের (Taliban) দখলে চলে গিয়েছে আফগানিস্তান (Afghanistan)। ইতিমধ্যে সেদেশে গঠিত হয়ে নয়া সরকারও। আর পড়শি দেশের এই পরিস্থিতিই রীতিমতো চিন্তায় রেখেছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে এবার আফগানিস্তানকে নিয়ে নয়াদিল্লিতেই বসতে পারে বিশেষ বৈঠক। এমনকী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারে চিন (China), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিনিধিরাও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের ১০ এবং ১১ তারিখ দিল্লিতে এই বৈঠক আয়োজিত হওয়ার কথা। প্রথমবার এই ধরনের বৈঠক ডাকতে চলেছে ভারত। আর সেখানে থাকতে পারেন আমেরিকা, রাশিয়া, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। এছাড়াও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে চিন এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিদেরও। আলোচনা হবে মূলত আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে।
[আরও পড়ুন: চিন নয়, জ্বালানি তেল কিনতে অর্থের জন্য এবার ভারতের দ্বারস্থ শ্রীলঙ্কা]
এর আগে ২০১৯ সালে ইরানে এই ধরনের একটি বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মইদ ইউসুফকে নাকি আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। তবে আফগানিস্তান তালিবানের দখলে আসার আগেই এই বৈঠকটি আয়োজিত করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু করোনা এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্যই তা বারেবারে পিছিয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার মস্কোয় আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে সেদেশের ‘নয়া’ তালিবান শাসকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। সেই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলে শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদসংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে। আগস্টে আফগানিস্তানে আসরফ ঘানি সরকারের পতনের পর প্রথম তালিবান-ভারত মুখোমুখি হবে এই বৈঠকে। কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মস্কোয় একটি বৈঠক ডেকেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকার কথা রয়েছে তালিবান প্রতিনিধিদের। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি ও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং ভারত তাতে সাড়াও দিয়েছে। তার মধ্যেই নয়া এই বৈঠকের তোড়জোড়।