সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপাতত গম (Wheat) রপ্তানি করবে না ভারত। শুক্রবারই কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে। তবে এযাবৎ যা চুক্তি হয়েছে, সেগুলি বহাল থাকবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ সেনা ঢুকে পড়তেই তার সর্বব্যাপী প্রভাব পড়তে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে। এর মধ্যে রয়েছে গমও। বিশ্বের মোট গম রপ্তানির ২৯ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের টালমাটাল পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে গমের জন্য ভারতেরই উপর নির্ভরশীল বিশ্ব। ভারতই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু এবার ভারতও গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল। দেশীয় বাজারে গম ও গমজাত দ্রব্যের দাম ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের বাজারে গমের দাম ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মালদহে বোমা বিস্ফোরণে ৫ শিশু জখম, মুখ্যসচিবকে তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের]
ভারতে গমের দাম বাড়ার একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম কারণ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে গমের মূল্যবৃদ্ধির দাপটও একটা ফ্যাক্টর। গমের পাশাপাশি অগ্নিমূল্য ভুট্টাও। ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ গম রপ্তানি করার লক্ষ্য ছিল নয়াদিল্লির। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে ৬৫ লক্ষ টন গম রপ্তানি করেছিল ভারত। কিন্তু এবার ইতিমধ্যেই সেই সীমানা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে! তাই মনে করা হচ্ছিল নতুন নজির গড়বে ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। স্থানীয় বাজারে লাগাতার গমের দাম বেড়ে চলায় বাধ্য়তই রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে হল ভারতকে। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাকি বিশ্বের দেশগুলিকে আরও সমস্যার মুখে পড়তে হবে তাতে সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে পেশ করা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, আট বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির গড়ল দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি। এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭৯ শতাংশে। গত কয়েক মাসে জ্বালানি তেল ও রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। তারই প্রতিফলন মুদ্রাস্ফীতিতেও। সেই তালিকায় রয়েছে গমও। এবার গম রপ্তানি বন্ধ করে গমের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ ভারতের।