সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুম কাটতেই স্বস্তি। সামান্য নিম্নমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় কমল কোভিড সংক্রমণ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা ২৪২৪, যা রবিবারের তুলনায় কিছুটা কম। নিম্নমুখী দেশের অ্যাকটিভ কেস (Active cases) অর্থাৎ সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ২৮,০৭৯।
[আরও পড়ুন: লড়াই শেষ, প্রয়াত উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব]
সুস্থতার হারও বেশ আশাব্যঞ্জক। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৮.৭৫ শতাংশ। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.৬৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.২৭ শতাংশ। এদিকে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাতিয়ার ভ্যাকসিন (Corona vaccination)। উৎসবের মাঝেও টিকাকরণের কাজে কোনও ভাটা পড়েনি। এখনও পর্যন্ত মোট ২১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১৮ ঊর্ধ্বদের প্রিকশন ডোজ ও বয়স্কদের বুস্টার ডোজ (Booster dose) দেওয়া চলছে। তবে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনাই লক্ষ্য কেন্দ্রের।
২০২০ সালের শুরু থেকে দেশে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে লকডাউন, কনটেনমেন্ট জোন তৈরির মতো একাধিক পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে বর্তমানে করোনার গ্রাফ ওঠানামা করলেও ভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মাস্কও এখন আর সর্বত্র বাধ্যতামূলক নয়। তার ফলে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে উদাসীনতা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের মরশুম কাটতে না কাটতেই গত শনি ও রবিবার পরপর দু’দিন ঊর্ধ্বমুখীই ছিল দেশের কোভিড গ্রাফ। তা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল সকলের। অনেকেরই ধারণা, উৎসবের মরশুমে বেপরোয়া আচরণের কারণে হয়তো করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তবে সোমবার সকালে কোভিড গ্রাফ বেশ খানিকটা নিম্নমুখী। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে দেশবাসী। ভিড়বহুল এলাকায় যাতায়াতের সময় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও বলছেন তাঁরা।