সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে ফের ঊর্ধ্বমুখী কোভিডগ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল আড়াই হাজার। প্রাণ গিয়েছে ১২ জনের। তবে সামান্য কমেছে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৯ জন। যা বুধবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। কারণ, ওইদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৪৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৪ হাজার ৪৬৩ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে করোনা। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩ হাজার ৩১৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। করোনা ভাইরাসের প্রাণঘাতী হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৪৫ জনের।
[আরও পড়ুন: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ডুয়ার্সের মাল নদীতে হড়পা বান, মৃত অন্তত ৮]
আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ামাত্রই আমজনতার উদ্বেগের পারদও চড়তে থাকে। তবে এই পরিস্থিতিতে আশা জোগাচ্ছে সুস্থতা। কারণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৭৪ শতাংশ।
নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে দেশ থেকে মহামারীকে মুছে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কেন্দ্র। উৎসবের সময়েও তাই নমুনা পরীক্ষা কিংবা টিকাকরণে (Corona vaccination) একবিন্দুও ছেদ পড়ছে না। দশেরা থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টিকা নিয়েছেন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৭ ডোজ।
[আরও পড়ুন: কমলেশ্বর বিতর্ক অতীত! দশমীতে সিপিএমের বইয়ের স্টলে হাজির তৃণমূল সাংসদ]
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ১.৩২ শতাংশ। প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত একটি করে টিকার ডোজ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছে কেন্দ্র। আর সেই কাজ যে যথেষ্ট সফলতার পথেই এগোচ্ছে। বর্তমানে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের পুরনো অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। নইলে সামান্য উদাসীনতা যে কোনও সময় বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।