সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অচলবস্থা কাটছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্কে। এবার আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণ 'লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস' (LPG) আমদানির লক্ষ্যে চুক্তি সাক্ষরের পথে ভারত। নয়া চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের তেল সংস্থাগুলি তাদের আমদানিকৃত এলপিজির কমপক্ষে ১০ শতাংশ আমেরিকা থেকে আমদানি করবে। এই চুক্তি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, সরকার এলপিজি আমদানিতে বৈচিত্র আনতে এই চুক্তি সাক্ষর করছে। যার লক্ষ্য দেশের মানুষ যাতে সস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার পান।
কেন্দ্রের বিবৃতি অনুযায়ী, নয়া চুক্তি মাধ্যমে রাষ্ট্রায়াত্ব তেল সংস্থাগুলি ২০২৬ সাল থেকে মার্কিন উপসাগরীয় উপকূল থেকে এলপিজি আমদানি করবে। মোট বার্ষিক আমদানির অন্তত ১০ শতাংশ আমেরিকা থেকে আসবে। মাউন্ট বেলভিউ বেঞ্চমার্কের অধীনে এই এলপিজি আমদানি করা হবে। সেই লক্ষ্যে বিপিসিএল, আইওসি এবং এইচপিসিএলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি দল আমেরিকা গিয়েছেন। চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে সেখানকার তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সাথে আলোচনা করেছেন। পুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় সংস্থাগুলি জনসাধারণকে সাশ্রয়ী মূল্যে এলপিজি সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমেরিকার থেকে এলপিজি কেনা হলে তা গ্রাহকদের জন্য কতটা সাশ্রয়ী হবে সে প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের তেল সংস্থাগুলি উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় মাত্র ৫০০ এবং ৫৫০ টাকায় সিলিন্ডার সরবরাহ করে, যা আন্তর্জাতিক মূল্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এর জন্য সরকার ৪০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করে। তবে আমেরিকার সঙ্গে এলপিজি আমদানি চুক্তির মূল লক্ষ্য হল বাণিজ্য আমদানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র আনা। এতে দেশ বৃহত্তর স্বার্থে লাভবান হবে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জটিলতা চরম আকার নেয়। বাণিজ্য চুক্তিতে বিলম্ব ও রুশ তেল কেনার অভিযোগে দফায় দফায় নয়াদিল্লির উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপায় আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বাণিজ্য চুক্তির পথে পা বাড়িয়েছে দুই দেশ। সূত্রের খবর, সে পথে বহুদূর অগ্রসর হয়েছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আস্বস্ত করেছেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমাঝে জ্বালানি আমদানির ভারসাম্য বজায় রাখতে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তির পথে ভারত।
