সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্বে বাড়তে থাকা চিনা আগ্রাসন রুখতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। সেই লক্ষ্যেই অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যৌথ মহড়া চালাল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখা। এই যুদ্ধ মহড়ার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন পূর্বী প্রহার'। গত ১০ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছে এই মহড়া। লাল ফৌজের আগ্রাসনের মাঝে অরুণাচলে সেনার সেই মহড়া দেশের প্রতিরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও রকম যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের তিন বাহিনীর সমন্বয় বাড়াতেই এই মহড়া চালানো হয়েছে। অরুণাচলে ৮ দিনের এই যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল বায়ুসেনার একাধিক যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান। একইসঙ্গে ছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার 'রুদ্র'। এছাড়া এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজার, সোয়ার্ম ড্রোন, এপিডি ড্রোন ও আত্মঘাতী ড্রোন সহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এখানে। তিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিক ও সেনা জওয়ানরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন এই মহড়ায়। যুদ্ধ ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা হাতে-কলমে সেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর-পূর্বে চিনের 'দাদাগিরি' ভারতের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ। বহুবার এই অরুণাচলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁষে একের পর এক গ্রাম বানানোর ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ইমেজে। অরুণাচলে লালফৌজের চোখে চোখ রাখতে ভারতীয় সেনার এই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিশ্চিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধ মহড়া প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে চিনের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার পর এ বার সিকিম এবং অরুণাচলে ‘নজর’ দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারই প্রথম ধাপ হল এই 'পূর্বী প্রহার'।