সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মুকুটে আরও এক সাফল্যের পালক। প্রথমবার সমুদ্র সফর শেষ করে সফলভাবে ফিরে এল বিমানবাহী রণতরী INS Vikrant। দেশে তৈরি সবথেকে শক্তিশালী এই যুদ্ধজাহাজ গত ৪ আগস্ট কোচি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।
কলকবজা ঠিক আছে কি না, সমস্ত যন্ত্রাংশ সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা দেখার জন্যই সমুদ্রে নামানো হয়েছিল বিক্রান্তকে। পরীক্ষামূলক সফরে ফুল মার্কস নিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছে কোচি সিপইয়ার্ড লিমিটেডের তৈরি যুদ্ধজাহাজটি বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর কর্তারা। ৭৬ শতাংশ ভারতে তৈরি করা সামগ্রী দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে বিক্রান্তকে। নকশা থেকে ইস্পাত, সেন্সর সবকিছুই ভারতীয়। দেশীয় পদ্ধতিতে বানানো জাহাজটি ২৬২ মিটার দীর্ঘ এবং প্রস্থে ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। এখানে ডেকের সংখ্যা ১৪। একসঙ্গে ১৭০০ নাবিক থাকতে পারবেন। আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম উদাহরণ হিসেবেই এই যুদ্ধজাহাজকে তুলে ধরতে চায় কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: Tripura: জামিনে মুক্ত আহত ৩ যুবনেতাকে নিয়ে আজই কলকাতা ফিরছেন Abhishek Banerjee]
এই রণতরীটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। ২০৫০ সালের মধ্যে এমন ১০টি বিমানবাহী রণতরী তৈরি করে ফেলতে চাইছে ভারত। ভারত মহাসাগরে অব্যাহত চিনা গতিবিধি। এহেন পরিস্থিতিতে লালফৌজকে টেক্কা দিতে আরও বেশি শক্তিশালী হতে চাইছে ভারতীয় নৌসেনা। আর সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে গত বছর থেকেই সীমান্ত সংঘাতে জড়িয়েছে চিন (China)। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। জলপথেও বেজিংকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে নয়াদিল্লি। আর সেজন্য ভারতীয় নৌসেনার ইস্টার্ন ফ্লিটের টাস্ক ফোর্সকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার (South East Asia) দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাঠানো হয়। চলতি মাসেই ওই অঞ্চলে মোতায়েন থাকবে ভারতের একাধিক যুদ্ধজাহাজ। শুধু তাই নয়, চিনের নাকের ডগাতেই অন্যান্য দেশের সঙ্গে মহড়াতেও অংশ নেবে ভারতীয় নৌবাহিনী (Indian Navy)।