সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন ইন্ডিগোতে এখন চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। কার্যত ধসে পড়ে ওই সংস্থার পরিষেবা। পর পর ৪ দিন ইন্ডিগোর পরিষেবার সমস্যার জেরে ভুগতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বিমানবন্দরগুলিতে চরমে যাত্রী ভোগান্তির চিত্র। শুক্রবারও দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তের সব অন্তর্দেশীয় বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। যার ফলে ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, এ সবটাই হচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতির জেরে।
রাহুল বলছেন, মোদি সরকারের 'মনোপলি' নীতির (একচেটিয়া ব্যবসা নীতি) জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "ইন্ডিগোর বর্তমান দুর্দশার জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকারের একচেটিয়া ব্যবসা নীতি। আরও একবার আমজনতাকে সেই ভ্রান্ত নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে। বিমান বাতিল, পরিষেবা বিঘ্ন এবং অসহায়তা। আসলে সব ব্যবসা ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতার প্রয়োজন হয়। এভাবে ম্যাচ ফিক্সিং এবং মনোপলি চলতে পারে না।" ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর এ নিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন রাহুল। সংবাদমাধ্যমে তাঁর লেখা একটি অনুচ্ছেদও তিনি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন।
গত ৩ দিনে ইন্ডিগোর প্রায় ৩ হাজার ৪০০ উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই বাতিল হয়েছে ৬০০ বিমান। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে অধিকাংশ বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন শ'য়ে শ'য়ে বিমানযাত্রী। কেউ অফিসের কাজে, কেউ চিকিৎসার জন্য, ইন্ডিগো বিমানে যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করেই বিমান বাতিল হওয়ার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি বহু যাত্রী। বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে শিডিউলে থাকা ৪৬৮টি বিমানের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৯২টি বিমান, দেরিতে ওঠানামা করেছে ৩২০টি বিমান। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমন কোনও আশ্বাসও দিতে পারছে না বিমানসংস্থা। ইন্ডিগো জানিয়েছে, আপাতত আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করার চেষ্টা হচ্ছে।
এসবের মধ্যে আবার আগামী দিনে আরও বিমান বাতিল হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠক করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। ডিজিসিএ, এয়ারপোর্ট আধিকারিক এবং বিমানসংস্থার কর্মীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি।
