সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ বছরের ভাইঝিকে 'খুন' করার পর ধরা পড়ে গেলেন ৩২ বছরের পুনম। যদিও এর আগেও তিনি শিশু খুন করেন বলে অভিযোগ। এমনকী নিজের দু’বছরের সন্তানও রেহাই পায়নি। সব মিলিয়ে দু’বছরে নিজের সন্তান-সহ ৪ শিশুকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন বারবার পুনমের নৃশংসতার শিকার হয়েছে নিষ্পাপ শিশুরা? গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের জেরায় চমকে দেওয়া উত্তর দিয়েছেন অভিযুক্ত। জানান, তিনি চাইতেন না পরিবারে তাঁর চেয়ে ‘বেশি সুন্দর’ কেউ থাকুক। এই ভাবনা এক ধরনের মানসিক অসুখ?
ঘটনাটি হরিয়ানার পানিপতের। সম্প্রতি সোনপতের বাসিন্দা ছয় বছরের বিধি একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে নিখোঁজ হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ঠাকুমা উমাবতী তাঁর নাতনির খোঁজে পান আত্মীয়ের বাড়ির গুদামঘর থেকে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। পুলিশের জেরায় পুনম জানিয়েছেন, কীভাবে বিয়ে বাড়ি থেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গিয়ে গুদামঘরে গামলা ভর্তি জলের মধ্যে চেপে ধরে বিধিকে খুন করেন তিনি।
এই খুনের তদন্ত করতে গিয়েই 'কেউটে' বেরিয়ে এসেছে। সামনে এসেছে আরও তিন শিশু খুনের ঘটনা। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে পুনম জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে জায়ের ৯ বছরের কন্যা ঈশিকাকে জলের ট্যাঙ্কে ডুবিয়ে খুন করেন তিনি। ধরার পড়ার ভয়ে নিজের তিন বছরের পুত্রসন্তানকেও জলের ডুবিয়ে হত্যা করেন। একইভাবে চলতি বছরের আগস্ট মাসে তুতো ভাইয়ের ৬ বছরের কন্যা জিয়াকেও খুন করেন পুনম। তিনি দাবি করেন ‘বেশি সুন্দর’ দেখতে বলেই ঈশিকা, জিয়া এবং বিধিকে খুন করেন। কারণ তাঁর চেয়ে 'বেশি সুন্দর' কেউ থাকুক পুনম তা চান না।
গত দুই বছর চার শিশুকে হত্যা করলেও খুনের পদ্ধতি এবং কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় ধরা পড়েননি পুনম। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শিশুদের। যদিও বিধিকে হত্যার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন পুনম। চার শিশুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। খুনের নেপথ্য জানার পর পুনমের মানসিক সমস্যা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
