সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতবর্ষের রাজনীতিতে বেনজির পদক্ষেপ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস-সহ রাজ্যের বিজেপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য অ্যান্টি-করাপশন ব্যুরোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এর আগে রাজ্যের নতুন বিধানসভা ভবন ও হাই কোর্ট নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় গত মে মাসেই বিচারবিভাগীয় কমিশন গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হেমন্ত সোরেনর সরকার। তার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ২০১৬ সালে রাজ্যের স্থাপন দিবস পালনে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগেও তদন্তের মুখে পড়তে হয়েছে তৎকালীন বিজেপি মন্ত্রীদের। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সোরেন সরকার জানায়, হাই কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! সিলিন্ডারপ্রতি ১৩৫ টাকা কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম]
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস-সহ তৎকালীন পাঁচজন বিজেপি (BJP)মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় নাম রয়েছে, নিরা যাদব, রণধীর কুমার সিং, নিলকান্ত সিং মুন্ডে, অমর কুমার বাউরি ও লুইস মারান্ডি। এদিকে, সোরেন সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে ‘বদলার’ অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজনইয়িক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এই তদন্ত।
২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রঘুবর দাসকে ক্ষমতাচ্যুত করে মসনদে বসেন জেএমএম (JMM) দলের প্রধান হেমন্ত সোরেন। আদিবাসী সংখ্যাগুরু রাজ্যটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে কংগ্রেস ও আরজেডিকে (RJD) যৌথ লড়াইয়ে রাজি করান তিনি। শুধু তাই নয়, ৮১টি আসনের বিধানসভায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (প্রজাতান্ত্রিক)-এর সমর্থন আদায় করতেও সক্ষম হন তিনি। আসন বিধানসভা নির্বাচনেও যে রাজ্যটিয়ে বিজেপির অবস্থা সুবিধের নয় সেটাও কিছুটা পরিষ্কার। এহেন পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।