shono
Advertisement
DY Chandrachud

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে, তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি এক বিচারপতিরই

তিস্তা শেতলবাদের জামিন মামলা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 02:17 PM Apr 21, 2025Updated: 02:17 PM Apr 21, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে অবসরের আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ এবং ‘অনৈতিক আচরণ’-এর অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পাটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাকেশ কুমার। সম্প্রতি এই দাবি নিয়ে নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, আইন ও বিচার মন্ত্রকের অধীনস্থ বিচার বিভাগ ওই অভিযোগ কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ বিভাগের (ডিওপিটি) কাছে পাঠিয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য। তবে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’।

Advertisement

সূত্রের দাবি, মূলত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের জামিনের শুনানি নিয়েই গত বছরের ৮ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিচারপতি রাকেশ কুমার। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে অবসর নেন। তাঁর দাবি, ‘অনুপযুক্ত আচরণ’ এবং ‘প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দ্বারা পদের সম্ভাব্য অপব্যবহার’ নিয়ে দুর্নীতিদমন আইন, ১৯৮৮-র ১৭এ ধারার আওতায় সিবিআই তদন্ত করতে হবে। সে জন্যই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন চেয়ে চিঠি লেখেন তিনি। শীর্ষ আদালতের গ্রীষ্মকালীন অবকাশে তিস্তা শেতলবাদের জামিনের আর্জির শুনানির জন্য ২০২৩-এর ১ জুলাই একই দিনে দু’টি পৃথক বেঞ্চ কেন গঠন করেছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে লিখেছেন বিচারপতি কুমার। তাঁর দাবি, ‘এই পদক্ষেপ গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন একজন অভিযুক্তের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ‘অন্যায্য’ অনুগ্রহ দেখানোর উদ্দেশ্যে কর্তৃত্বের অপব্যবহারের সমান।’ তাই বিচারব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি বাধ্য হয়েই রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন।

বিচারপতি কুমার উল্লেখ করেন যে, শেতলবাদের জামিন মামলা দায়রা আদালত এবং পরে গুজরাট হাইকোর্ট ২০২৩-এর ১ জুলাই খারিজ করে দেয়। সেই দিনই তিনি সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন। সেই দিনই একটি স্পেশাল বেঞ্চ গঠন করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি বেঞ্চের সদস্যরা। তাই সেদিনই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে বিষয়টি সেখানে পাঠান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, গুজরাট সরকারের ঊর্ধ্বতন আমলাদের ফাঁসানোর জন্য প্রমাণ জাল করা এবং সাক্ষীদের জোর করার মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল শেতলবাদের বিরুদ্ধে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ এবং ‘অনৈতিক আচরণ’-এর অভিযোগ।
  • রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পাটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাকেশ কুমার।
  • তিস্তা শেতলবাদের জামিন মামলা নিয়ে 'ক্ষমতার অপব্যবহার’-এর গুরুতর অভিযোগ।
Advertisement