shono
Advertisement
Karnataka Power Tussle

ব্রেকফাস্ট টেবিলে হাসিমুখে শিব-সিদ্দা, জমি ছাড়ল দু'পক্ষই, কোন ফর্মুলায় সমঝোতা?

দুই বিবাদমান নেতা ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়াকে এক টেবিলে বসাতে সক্ষম হল কংগ্রেস হাই কম্যান্ড।
Published By: Subhajit MandalPosted: 11:08 AM Nov 29, 2025Updated: 01:57 PM Nov 29, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের দ্বন্দ্ব কি মিটিয়ে ফেলল কংগ্রেস? অন্তত প্রকাশ্যে সেই বার্তাই দেওয়া হল দলের তরফে। দুই বিবাদমান নেতা ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়াকে এক টেবিলে বসাতে সক্ষম হল কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। শনিবার সাতসকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করলেন। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।

Advertisement

খাবার টেবিলে উপমা-রায়তা-সহ কন্নড়দের প্রিয় সব প্রাতরাশের মেনু ছিল। সঙ্গে দুই নেতার মুখেই একগাল হাসি। বার্তাটা স্পষ্ট, 'হাম সাথ সাথ হ্যায়।' এই ছবি দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে অন্তত এই মুহূর্তে দুই নেতা নিজেদের অন্দরের বিবাদ মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু কোন শর্তে? শোনা যাচ্ছে, সিদ্দারামাইয়ার প্রস্তাবিত রফাসূত্রেই রাজি হয়েছেন ডিকে। ওই রফাসূত্র অনুযায়ী, এখনই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরতে হবে না সিদ্দাকে। তবে ধীরে ধীরে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেবেন। আপাতত মন্ত্রিসভার রদবদলে ডিকের অনুগামীদের ভালো ভালো মন্ত্রক দেওয়া হবে। সংখ্যাও আগের চেয়ে বাড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, ডিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দুই পদেই বহাল থাকবেন। এই ব্যবস্থা চলবে আগামী কয়েক মাস। তারপরই কুরসি বদলের সম্ভাবনা। ফেব্রুয়ারির বাজেটের পর মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসতে পারেন ডিকে। সেসময় আবার উলটো ব্যবস্থা হবে। তখন সিদ্দার অনুগামী বসবেন প্রদেশ সভাপতির আসনে। বেশিরভাগ মন্ত্রকও তাঁর অনুগামীদের হাতেই থাকবে। 

একদিন আগেই ডিকে সোনিয়া গান্ধীর উদাহরণ তুলে বার্তা দিয়েছিলেন, "সোনিয়া গান্ধীর কাছেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ছিল। তবে সে সুযোগ তিনি গ্রহন করেননি, আত্মত্যাগ করেছিলেন।" কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, "২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর, যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল কালাম সোনিয়া গান্ধীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বদলে বরং মনমোহন সিংকে সেই প্রস্তাব দেন। তিনি পেশায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ। তাঁর মনে হয়েছিল দেশের উন্নয়নের লক্ষে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি তিনিই। প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে সোনিয়া গান্ধী নিজে ২০ বছর ধরে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।" আসলে আত্মত্যাগের ওই বার্তা ডিকে দেন, নিজের অনুগামীদের জন্যই। তিনি বুঝিয়ে দেন, দলের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি ছেড়ে প্রদেশ সভাপতির পদে থাকতে তাঁর আপত্তি নেই।

অবশ্য এ ছাড়া অন্য উপায়ও তাঁর হাতে ছিল না। কারণ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দার মতো প্রভাবশালী নেতাকে রাতারাতি সরিয়ে দিতে নারাজ। তাতে ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দলের মনে হচ্ছে, কর্নাটকের মতো রাজ্যে দুই নেতার বিবাদের ছবি একেবারেই ভালো বার্তা দিচ্ছে না। তাই তাঁরা চাইছিলেন খানিকটা ক্ষমতা বাড়িয়ে ডিকে-কে শান্ত করতে। সেই সুত্রই মেনে নিয়েছেন তিনি। অন্তত এমনটাই সূত্রের দাবি। তবে রাজনীতি সম্ভাবনার খেলা। যে কোনও সময় খেলা ঘুরে যেতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দুই বিবাদমান নেতা ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়াকে এক টেবিলে বসাতে সক্ষম হল কংগ্রেস হাই কম্যান্ড।
  • শনিবার সাতসকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করলেন।
  • সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
Advertisement