সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের মন্দিরে নিষিদ্ধ করা হল আরএসএসের গতিবিধি। বিতর্ক উসকে এই নির্দেশিকা জারি করেছে ত্রিবাঙ্কুর দেবাস্বম বোর্ড। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পুজার্চনা ছাড়া মন্দির চত্বরে অন্য কোনও গতিবিধি করা যাবে না।
ঈশ্বরের আপন দেশ কেরলে বরাবরই সক্রিয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক। সেখানে গভীরে প্রবেশ করেছে জেহাদের বিষও। ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে রাজ্যটির বেশ কয়েকজন যুবক বলে গোয়েন্দাদের দাবি। উগ্র বামপন্থীদের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদীদের রক্তাক্ত সংঘাতও দেখছে রাজ্যটি। এহেন পরিস্থিতিতে মন্দিরে সংঘের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মেঘ জমতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা, সাতসকালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু অন্তত সাতজনের, আহত ১৩]
বলে রাখা ভাল, কেরলে হিন্দু মন্দিরগুলির নিয়ন্ত্রণ করে ত্রিবাঙ্কুর দেবাস্বম বোর্ড। স্বশাসিত এই বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিখ্যাত শবরীমালা-সহ প্রায় ১ হাজার ২০০ মন্দির। সেগুলিতে সংঘের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৮ মে বোর্ডের তরফে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়, পুজার্চনা ছাড়া মন্দির চত্বরে অন্য কোনও গতিবিধি করা যাবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগেও এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মন্দিরগুলি তা পালন করেনি বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগে হাদিয়া কাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠে কেরালা (Kerala)। ২০১৬ সালে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক যুবককে বিয়ে করেন অখিলা। তারপরই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হাদিয়া নাম নেন তিনি। এই ঘটনার পরই লাভ জেহাদের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন অশোকান। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ওই ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয় দেশজুড়ে।কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার হিন্দু বিরোধী বলে তোপ দাগে বিজেপি।