সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভের ‘অমৃতস্নান’ উপলক্ষে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা। কার্যতই আতঙ্কের ছায়া ত্রিবেণী সঙ্গমে। কীভাবে ঘটে গেল এমন দুর্ঘটনা? এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, প্রবল ভিড়ে পিছিয়ে আসারও উপায় ছিল না। সেই চাপেই সম্ভবত প্রাণ হারাতে হয়েছে বহু মানুষকে। আহতও হয়েছেন অনেকে।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই প্রত্যক্ষদর্শী পুণ্যার্থী জানাচ্ছেন, তিনি ও তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা ধীরে ধীরে স্নানের জন্য এগোচ্ছিলেন। আচমকাই ভিড় বেড়ে যায়। তাঁর কথায়, ''হঠাৎই প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কি আর ঠেলাঠেলি শুরু হল। আমরা চেষ্টা করছিলাম সরে আসতে। কিন্তু তারও উপায় ছিল না। সবাই ধাক্কা দিচ্ছিল। মানুষ ছত্রখান হয়ে পড়েছিল। বহু মানুষ জখম হয়েছেন। জানি না কী ঘটে গিয়েছে!''
এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় সরোজিনী নামের আর এক পুণ্যার্থী বলছেন, ''আমরা দুটো বাসে ৬০ জন করে ছিলাম। আমাদের দলে ছিল ৯ জন। আচমকাই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় ভিড়ের মধ্যে। অনেকেই পড়ে যান। পুরো বিষয়টাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।''
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, রাত ২টো নাগাদ সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশে জড়ো হন পুণ্যার্থীরা। ১০ হাজারের বেশি মানুষ একসঙ্গে স্নান করতে ভিড় জমান। তখনই ১১ থেকে ১৭ নম্বর খুঁটির মাঝে ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। যার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রবল ভিড়ের জেরে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন আরও বহু মানুষ।