shono
Advertisement
Maharashtra Maoists surrender

৩৮ বছরের 'লাল সন্ত্রাসে'র অবসান! মহারাষ্ট্রে আত্মসমর্পণ কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ-সহ ১১ মাওবাদীর

আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী নেতাদের মাথার দাম চিল ১ কোটি টাকারও বেশি।
Published By: Subhajit MandalPosted: 08:45 AM Jan 02, 2025Updated: 08:45 AM Jan 02, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের কাছে বুধবার আত্মসমর্পণ করলেন গড়চিরৌলি বিদর্ভ অঞ্চলের ১১ জন মাওবাদী নেতা-নেত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি'র কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা। সম্পর্কে তিনি নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজ্বলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু সিপিআইয়ের (মাওবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। মাওবাদী বিরোধী অভিযানের প্রেক্ষিতে বিমলার আত্মসমর্পণ সাম্প্রতিক কালের বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, বিমলা গত ৩৮ বছর ধরে সশস্ত্র নকশালপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৩ সিপিআইএমএল (পিডব্লিউজি)-র হাত ধরে সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দেন তিনি। দ্রুত কিষেণজির আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। দেড় দশক আগে, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর ঝাড়গ্রামের বুড়িশোলের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় কিষেণজির। কিন্তু ততদিনে বিমলার স্বামী বেণুগোপালও সংগঠনের প্রথম সারির নেতা হয়ে গিয়েছেন।

মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, গড়চিরৌলি-সহ বিদর্ভের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ছত্তিশগড়েও একাধিক নাশকতায় জড়িত বিমলা-সহ আত্মসমর্পণকারী ১১ মাওবাদী নেতা-নেত্রী। বিমলার বিরুদ্ধে গড়চিরৌলিতে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৮ জনকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর সঙ্গেই বুধবার ফড়নবিসের হাত থেকে ভারতীয় সংবিধান নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সিপিআই মাওবাদীর গড়চিরৌলি ডিভিশনের নাংশু তুমরেতি ওরফে গিরিধর এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা উসেন্দি ওরফে ললিতা। ১৭০টি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত গিরিধরের মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। আত্মসমর্পণকারী ১১ জন মাওবাদীর মোট মাথার দাম এক কোটি তিন লক্ষ টাকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের কাছে বুধবার আত্মসমর্পণ করলেন গড়চিরৌলি বিদর্ভ অঞ্চলের ১১ জন মাওবাদী নেতা-নেত্রী।
  • সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি'র কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা।
  • সম্পর্কে তিনি নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজ্বলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ।
Advertisement