সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফলাফল করে তৃতীয়বার এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের বাইরে সংগঠন বিস্তারে বাড়তি নজর দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষত তাদের নজরে উত্তর-পূর্বের ছোট রাজ্যগুলি। ত্রিপুরায় (Tripura)আগেই লড়াই শুরু করে দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, যার মূল সেনাপতি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিয়ম করে ত্রিপুরা গিয়ে সংগঠনের কাজ গুছিয়ে আসেন, দেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এবার ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর যাতায়াত বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। সেই লক্ষ্যে চলতি মাসের শেষ দিকে ত্রিপুরা যেতে পারেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সঙ্গী হবেন অভিষেক। এমনই খবর মিলছে সূত্র মারফত। তবে তাঁদের ত্রিপুরা সফরের সূচি নিয়ে দলের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হবে। আর তারপর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ত্রিপুরা যাবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সম্ভবত ভোটের প্রচার পর্ব শুরু হবে সেখান থেকেই। চতুর্থ অর্থাৎ শেষ সপ্তাহে ত্রিপুরা যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনিও প্রচারের জন্যই যেতে পারেন।
[আরও পড়ুন: এবার তৃণমূল নেতাদের ঘরের ভিতর বেঁধে রাখার নিদান! বিতর্কে হুগলির BJP সাংসদ লকেট]
ত্রিপুরায় এবার লড়াই ত্রিমুখী। বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে একদা যুযুধান সিপিএম-কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। ফলে তৃণমূলের (TMC) লড়াই বিজেপি ও সিপিএম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এখন দেখার বিষয় ত্রিপুরার অন্যান্য ছোট রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কোনও নির্বাচনী সমঝোতা হয় কিনা। তৃণমূলের লক্ষ্য, ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠা।
[আরও পড়ুন: নেপালের বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে গাফিলতির ইঙ্গিত, প্রকাশ্যে এল ভয়াবহ ভিডিও]
ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের নির্বাচনকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তৃণমূল। ১৮ তারিখ মেঘালয়ের তুরা কেন্দ্রে একটি জনসভা করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ত্রিপুরা যেতে পারেন। সেখানে তাঁর সঙ্গী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগেও অভিষেকের ত্রিপুরা সফরে যাওয়ার কথা। সেখানে জনসভা করতে পারেন। জোর দেওয়া হবে জনজাতি এলাকাগুলিতে। অভিষেকের সেই সফর উপলক্ষে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সেখান দলীয় নেতৃত্ব, সূত্রের খবর এমনই। এখন অপেক্ষা দলনেত্রীর যাওয়ার।