সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিংসায় লাগাম পরানো যাচ্ছে না মণিপুরে। বরং উত্তরোত্তর তা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। রবিবার গভীর রাতে মণিপুরে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। পাশাপাশি আহত হন আরও এক জন। সেই ঘটনাতেই এবার ফেটে পড়লেন উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যের জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের পার্টি অফিসে।
সম্প্রতি মণিপুরের মেতেই অধ্যুষিত জিরিবাম জেলায় নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছিল কুকি জঙ্গিরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত দুদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মেতেইরা। রবিবার রাতে এখানকার বাবুপাড়ায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল মেতেইরা। অভিযোগ, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে সেখানে মৃত্যু হয় বছর কুড়ির এক যুবকের। এরই প্রতিবাদে উন্মত্ত জনতা হামলা চালায় বাবুপাড়ায় বিজেপি ও কংগ্রেসের পার্টি অফিসে। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দলীয় অফিসে।
এই হামলার ঘটনা ঘটে জিরিবাম থানা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরত্বে। ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিবেশ এলাকাজুড়ে। নতুন করে কোনওরকম অশান্তি যাতে না ঘটে তার জন্য প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা এলাকায়। এদিকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গুলিতে আরও এক যুবক আহত হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি প্রশাসন। এদিকে মণিপুরে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া হিংসায় লাগাম টানতে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানা যাচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন এবং আইবি ডিরেক্টর তপন ডেকা-সহ শীর্ষ অফিসাররা ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় হামলা চালিয়েছিল কুকি জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১০ জঙ্গির মৃত্যু হলেও ৬ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে কুকিরা। গত শনিবার তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকে নতুন করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে মণিপুর। এদিকে মণিপুরের বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে কনরাড সাংমার দল এনপিপি। শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ বলে বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে সমর্থন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।