সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং (Manmohan Singh Dies)। তাঁর মৃত্যুতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করল কেন্দ্র। অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকাও। সেই সঙ্গেই শুক্রবার সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় ক্যাবিনেটের বৈঠক। সেখানেই রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা করা হবে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মনমোহনের।
এদিকে কংগ্রেস জানিয়েছে, দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন-সহ সমস্ত আগামী সাতদিনের সমস্ত আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। এই কদিন অর্ধনমিত রাখা হবে দলের পতাকা। যে সময় মনমোহনের প্রয়াণ সংবাদ প্রকাশ্যে আসে, সেই সময় দলের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সাংসদ রাহুল গান্ধী কর্নাটকের বেলাগাভিতে ছিলেন। তাঁরা কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে ছিলেন। খবর পেয়েই তাঁরা দিল্লিতে ফিরছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯২ বছরের অর্থনীতিবিদ। মনমোহনের প্রয়াণে এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী-সহ বিশিষ্টজনেরা। এক্স হ্যান্ডেলে মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা জানাতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন মোদি। তিনি লেখেন, ‘দেশ একজন বড় নেতাকে হারাল। আমি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জির সঙ্গে নিয়মিত কথা হত। প্রশাসনিক নানা কথাবার্তা হত।’ এদিন তাঁর হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়েই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাও।
১৯৯১ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সদস্য হন মনমোহন সিং। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী। উদার অর্থনীতিকরণের মুখ্য রূপকার বলা হয় তাঁকে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করার পরে ২০০৪ সালে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৯ সালেও তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। পরপর দুবার, সব মিলিয়ে ১০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন।