shono
Advertisement
Manmohan Singh

জীবনে কখনও দ্বিতীয় হননি! একনজরে মেধাবী মনমোহনের খুঁটিনাটি

মনমোহন ছিলেন একজন সফল শিক্ষক।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 02:58 PM Dec 27, 2024Updated: 03:16 PM Dec 27, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যেমন সুনাম অর্জন করেছিলেন, তেমনই প্রয়াত মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর বিশ্বব‌্যাপী পরিচিতির এক অবিচ্ছেদ‌্য অঙ্গ ছিল সুদক্ষ অর্থমন্ত্রী হিসাবেও। ভারতবর্ষে উদার অর্থনীতির জনক হিসাবে তিনি ছিলেন প্রখ‌্যাত এবং স্বমহিমায় সমাদৃত। তাঁর জীবনচরিত জানাচ্ছে, শুধু মেধাবী ছাত্রই নন, মনমোহন ছিলেন একজন সফল শিক্ষক এবং পরবর্তীকালে কর্মজীবনে নরসিমা রাও সরকারের সুযোগ‌্য অর্থমন্ত্রীও। জনশ্রুতি আরও দাবি করে যে, ক্লাসে নাকি কখনও প্রথম বাদে দ্বিতীয় হননি গুরমুখ সিং এবং অমৃত কৌরের এই কৃতী সন্তান।

Advertisement

জন্ম বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে চকওয়াল জেলার গ্রাম গাহ-এ‌। ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। দেশভাগের সময় কিশোর মনমোহন বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে এসেছিলেন অমৃতসরে। এর পর ১৯৫২ সালে চণ্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে স্নাতক এবং পরে ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করে বিলেতে পাড়ি দেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড কলেজ থেকে ডি’ফিল করেন।

এরপর ভারতে ফিরে মনমোহন যোগ দেন রাষ্ট্রসংঘের কাজে। ১৯৬৬-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সেখানকার বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখায় কর্মরত ছিলেন তিনি। শিক্ষক-জীবন শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্সে তিনি যোগ দেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অধ্যাপক হিসাবে। অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারি দায়িত্ব পান। ১৯৭২ সালে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হন। ১৯৭৬ সালে হন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থসচিব। ১৯৮০ সাল থেকে টানা দু’বছর ছিলেন যোজনা কমিশনে। প্রণব মুখোপাধ্যায় তখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ১৯৮২ সালে মনমোহনকে আরবিআই-এর গভর্নর করা হয়। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন। এর পর দু’বছর (১৯৮৫-৮৭) তিনি ছিলেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারপার্সন পদে। ১৯৮৭ সালে অর্থনীতি বিষয়ক স্বাধীন সংস্থা, সাউথ কমিশনের মহাসচিব পদে বসেন। ১৯৯১ সালের মার্চে ইউজিসি-র চেয়ারম্যান পদে বসেন।

এরপর ১৯৯১ সালের জুন মাসে নতুন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও তাঁর সরকারে মনমোহনকে অর্থমন্ত্রী করেন। স্বাধীন ভারতের অর্থনীতির ইতিহাসে এই পদক্ষেপই ছিল মোড়-ঘোরানো। মনমোহনের নেতৃত্বে এর পর থেকেই আমূল পরিবর্তন আসে দেশের আর্থিক নীতিতে। ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার তরফে সাম্মানিক ডক্টর অফ ল’, ২০০৬ সালের জুন মাসে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে প্রাপ্ত সাম্মানিক ডক্টর অফ সিভিল ল। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির তাঁকে একই সম্মান জানায়। সেন্ট জনস ইউনিভার্সিটির তরফে তাঁর নামে একটি পিএইচডি স্কলারশিপ চালু করা হয়েছিল, যার নাম ‘ড. মনমোহন সিং স্কলারশিপ’।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দেশভাগের সময় কিশোর মনমোহন বাবা-মায়ের সঙ্গে চলে এসেছিলেন অমৃতসরে।
  • ভারতে ফিরে মনমোহন যোগ দেন রাষ্ট্রসংঘের কাজে। ১৯৬৬-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সেখানকার বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখায় কর্মরত ছিলেন তিনি।
  • ১৯৯১ সালের জুন মাসে নতুন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও তাঁর সরকারে মনমোহনকে অর্থমন্ত্রী করেন।
Advertisement