সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল। একের পর এক প্রাণহানি মুহূর্তে বালেশ্বরের বাহানাগাকে যেন মৃ্ত্যুপুরীর রূপ দিয়েছে। তবে ৫১ ঘণ্টার ‘যুদ্ধ’ শেষে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে বাহানাগা। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেললাইন দিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। তবে রেলমন্ত্রী হিসাবে এখনও সমস্ত দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। যতক্ষণ না ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজদের পরিজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ কাজ চলবে। দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় সেকথা জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
গত শুক্রবার সন্ধেয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ঘটে। খবর কানে যায় রেলমন্ত্রীর। তাঁর নির্দেশমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তারপর শনিবার ভোররাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেদিন থেকেই দুর্ঘটনাস্থলেই রয়েছেন তিনি। সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজ। মৃত ও আহতদের উদ্ধার করার পর শুরু হয় রেললাইন মেরামতির কাজ। সেখানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালান রেলমন্ত্রী। এরপর রবিবার রাতে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে বাহানাগা। আপ ও ডাউন লাইন মিলিয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে মোট তিনটি ট্রেনের চাকা গড়ায়।