সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আর লোকসভা ভোটের মতো পর্দার আড়ালেন থাকলেন না তিনি। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা এবং উত্তরপ্রদেশের নটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে রীতিমতো সক্রিয় হতে দেখা গেল আরএসএসের চালিকাশক্তি সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতকে। বুধবার সকাল সকাল মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহও দিলেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে ভাগবতের এই সক্রিয়তা গেরুয়া শিবিরের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। একই রকম গুরুত্বপূর্ণ বুধবার নাগপুরে দিয়ে ভাগবতের সঙ্গে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের দেখা করার বিষয়টি।
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় আপাত অর্থে ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল আরএসএস। সরাসরি রাজনৈতিক প্রচারে ছিলই না সংঘ। এমনকী ভোটদানে উৎসাহ দিতে যে প্রচার চালিয়ে থাকে তারা, তাও দেখা যায়নি। এর ফল মোটেই ভালো হয়নি। চারশো পারের স্লোগান দিয়ে ২৪০-এ থামতে হয়েছিল বিজেপিকে। শেষ পর্যন্ত এনডিএ জোটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবার আর সেই ভুলের পুনারবৃত্তি চায়নি সংঘ এবং বিজেপি।বুধবার ভোট দিয়ে ভাগবত বার্তা দিলেন, "ভোট দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। আমি যেখানেই থাকি, ভোট দিই। আমার উত্তরাখণ্ডে কর্মসূচি চলছিল। এক দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত রেখে মঙ্গলবার রাতেই নাগপুরে ফিরে এসেছিলাম। আজ ভোট দিয়ে রাতে ফিরে যাব।"
শুধু ভোটদানের প্রচারে ইতি টানেনি আরএসএস। নাগপুরের যে সব ভোটার কর্মসূত্রে পুণে বা মুম্বইয়ে থাকেন, তাঁদের বিনা টিকিটে বাসে নাগপুরে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল সংঘ। ভোটে আগে গণেশপুজো, নবরাত্রি, কোজাগরী এবং দীপাবলিতে গণসংঘঠনের কাজ করেছে আরআসএস। মোদ্দা কথা, এবারের ভোটে বিজেপির জমি শক্ত করতে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে সংঘ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, আরএসএস নিজের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে বিজেপিকে বার্তা দিল।
বিজেপি এখন সংঘকে ছাড়াই চলতে পারে, জেপি নাড্ডার এই মন্তব্যের পরেই সংঘের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল বিজেপির। সম্পর্ক জোড়া দিতে বুধবার ভোটপর্ব মেটার পর নাগপুরে গিয়ে ভাগবতের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতা দেবন্দ্র ফড়নবীশ। সূত্রের খবর, ভোটপ্রচারে বিজেপির পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানাতেই এদিন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন ফড়নবীশ।