সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ রোগ করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সংক্রমণে লাগাম পড়াতে শসব্যস্ত প্রশাসন। ঘরবন্দি করেছেন দেশবাসীকে। জোর দিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব বাড়ানোর উপর। কিন্তু দেশের জেলবন্দিদের কী হবে?
সংশোধানাগারগুলিতে তো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একবার যদি জেলের ভিতর এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়, তাহলে তা রোখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই জেলবন্দিদের জামিনে মুক্তি দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার।
করোনার জেরে গোটা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব। পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হচ্ছে, বলছেন চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞরা।এদিকে দুনিয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১১০০ টপকে গিয়েছে। খুব কম সময়ের মধ্যে এই হার বৃদ্ধি, এই পরিসংখ্যান আরও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। দেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের (তিন বিদেশি-সহ সংখ্যাটা ৩৩)। মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ। আক্রান্তের সংখ্যাও দেশের মধ্যে সর্বাধিক মহারাষ্ট্রে। বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বিশ্বজুড়ে ছয় লক্ষেরও বেশি মানুষের শরীরে থাবা বসিয়েছে COVID-19।
[আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত এইমসের! ট্রমা সেন্টার পরিণত হচ্ছে করোনা হাসপাতালে]
জানা গিয়েছে, এমন পরস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশের ৫০০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে ৬০ দিনের জন্য জরুরি প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে।ওই রাজ্যের বিচারাধীন তিন হাজার কয়েদিকে ৪৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে মোট সাড়ে আট হাজার কয়েদিকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ইতিপূর্বে দিল্লির তিহার জেল থেকেও প্রায় দশ হাজার বন্দিকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন : লকডাউনে বন্ধ শরীরচর্চাও, ফিট থাকার উপায় বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী]
The post সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে, আট হাজার জেলবন্দিকে ‘মুক্তি’ দেওয়ার সিন্ধান্ত appeared first on Sangbad Pratidin.
