সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়ার তরুণী পাইলটের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ। তরুণীর পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে নিয়মিত হেনস্তা করতেন যুবক। এমনকী নিরামিষ খাওয়া শুরু করতেও বাধ্য করেছিলেন। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তরুণীর কাকার দাবি, ব্ল্যাকমেল করে ভাইঝির টাকা হাতিয়েছেন যুবক।
মৃতা সৃষ্টি তুলি অন্ধেরির ফ্ল্যাটে থাকতেন। মোবাইলের চার্জারের তার গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি, প্রাথমিক ভাবে তেমনটাই মনে করছে পুলিশ। সৃষ্টির প্রেমিক ২৭ বছরের আদিত্য পণ্ডিতকে গতকালই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতার কাকার অভিযোগ, আদিত্য সৃষ্টির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এর জেরে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। কার্যত ভাইঝির মৃত্যুর জন্য আদিত্যকে দায়ী করেন শোকগ্রস্ত কাকা।
এদিকে আদিত্য পুলিশকে জানান, আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের কথা ফোনে বলেন সৃষ্টি। শুনেই তড়িঘড়ি মাঝপথে মুম্বইয়ে ফেরেন যুবক। ফ্ল্যাটে পৌঁছে দেখেন, 'আত্মহত্যা' করেছেন প্রেমিকা। সৃষ্টিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও সৃষ্টিকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠছে আদিত্যর বিরুদ্ধে। তরুণী পাইলটের কাকা বিবেক তুলি দাবি করেন, দিওয়ালির সময় সৃষ্টির অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল আদিত্যর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুলি পরিবারের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। কর্মসূত্রে মুম্বই নিবাসী হন সৃষ্টি। তরুণীর কাকার বক্তব্য, "ওঁরা বলছে এটা আত্মহত্যা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না। এটা পরিকল্পিত খুন।" তিনি আরও জানান, পনেরো মিনিট আগেই মা এবং কাকিমার সঙ্গে স্বপ্রতিভ কণ্ঠে ফোনে কথা বলেছিলেন সৃষ্টি। তার পর কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না। ঘটনার তদন্ত এবং দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি।