সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা মতো সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ বৃদ্ধির পথেই হাঁটল নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) সরকার। মন্ত্রিসভার অনুমতিতে তফসিলি জাতি, অনগ্রসর জাতি এবং অতি অনগ্রসর জাতির জন্য বৃহস্পতিবার সংরক্ষণ সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেল বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly)।
জাতিগত জনগণনার (Caste Census) রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিহারে সংরক্ষণ পদ্ধতি আমূল বদলে ফেলতে চেয়েছিলেন নীতীশ। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি, অনগ্রসর জাতি এবং অতি অনগ্রসর জাতির জন্য ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব করেন তিনি। সেই প্রস্তাবই এদিন পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়। যা ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা লঙ্ঘন করল। পাশাপাশি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাস্তবায়িত হলে বিহারে মোট সংরক্ষণ দাঁড়াবে ৭৫ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ঢিলেমি নয়, ‘দাগি’ সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে শুনানি বিশেষ বেঞ্চে, কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
বিহার সরকারের নয়া প্রস্তাব হল, তফসিলি জাতির সংরক্ষণ হবে ২০ শতাংশ। তফসিলি উপজাতির সংরক্ষণ ২ শতাংশ। অন্যান্য অনগ্রসর জাতি অর্থাৎ ওবিসি এবং অতি অনগ্রসর জাতি অর্থাৎ ইবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ৪৩ শতাংশ। বিজেপি বারবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সংরক্ষণের দাবি তুলে এসেছে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী বলেন, “এর মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি নেই। বিলের নামেই স্পষ্ট যে এটি তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সংশোধন।”