সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে পুলিশি ঘেরাটোপে খুন হয়েছেন গ্যাংস্টার রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) এবং তার ভাই আশরফ। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশের হিটলিস্টে রয়েছে আরও ৬১ গ্যাংস্টার! এই অবস্থায় তাঁকেও আতিকের মতো গুলি করে মারা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) বাহুবলী নেতা আজম খান (Azam Khan)। শনিবার উত্তরপ্রদেশের রামপুরের পুরনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে একথা বলেন তিনি। লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
রামপুর পুরসভায় সমাজবাদী পার্টির হয়ে লড়ছেন ফতিমা জাবি। তাঁর হয়েই প্রচার এসেছিলেন প্রবীণ নেতা আজম খান। সেখনেই তিনি বলেন, “আমার ও আমার সন্তানদের থেকে কী চান আপনারা? এটাই কি চান যে কেউ এসে আমাদের মাথায় গুলি করুক? সেটাই বাকি আছে। আইনকে বাঁচান। কিছুই হারানোর নেই। সাহস সঞ্চয় করুন। বাধা পেলে পিছিয়ে যাবেন না। এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।”
[আরও পড়ুন: মন কি বাতের শততম পর্ব উদযাপনে এসে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা, উচ্ছ্বসিত পরিবার]
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে পুরনো ‘সম্পর্ক’ রয়েছে আজমের। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে যোগীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। মামলায় ওঠে আদালতে। তিন বছরের কারাদণ্ড হয় আজমের। এর ফলে বিধায়ক পদ খোয়া যায়। রামপুরে প্রচারে এসে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে আজম বলেন, “যাঁরা আজ বলছেন পুরসভা চুক্তির ভিত্তিতে চলছে। তাঁরা গোটা দেশকে চুক্তির মুখে ফেলেছেন। লাল কেল্লা, বিমানবন্দর, বন্দর, রেল বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি আছে কেবল সেনা।” দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে রাজনীতির বাইরে ছিলেন আজম। ফিরে এসেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি শাসকদের তোপ দাগলেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি হল রাজনৈতিক নপুংসক”।